পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ, বাংলাদেশের মন্দিরে তাণ্ডবে মৃত বেড়ে ২ : রিপোর্ট

দশমীতেও রক্তপাত থামল না বাংলাদেশে। দক্ষিণ বাংলাদেশের নোয়াখালির বেগমগঞ্জের মন্দিরে হামলায় মৃত্যু হল দুই হিন্দু ব্যক্তির। তাঁদের মধ্যে একজন মন্দিরের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। পুলিশ আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা।

ওই সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, দশমীতে বেগমগঞ্জের মন্দিরে হামলা চালায় একটি দল। সেই সময় দশমীর রীতি-নীতি পালন করা হচ্ছিল। স্থানীয় থানার তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরের এক কার্যনির্বাহী সদস্যকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। শনিবার তথা একাদশীতে মন্দির লাগোয়া একটি পুকুর অপর এক হিন্দু ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনিও দশমীর দিন হামলার ঘটনায় মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে। ধৃতদের গ্রেফতার করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে দাবি করেছে পুলিশ। 

একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার নেতৃত্বে নাকি ছিলেন সেদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লিগেরই নেতা। সেই ঘটনার পর ইসকনের তরফে টুইট করা হয়, ‘বাংলাদেশের নোয়াখালিতে ইসকন মন্দির ও ভক্তদের উপর আজ একটি হিংস্র হামলা হয়েছে। এই হামলায় মন্দিরের ক্ষতি হয়েছে এবং একজন ভক্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা সকল হিন্দুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর মধ্যে বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি পুজো মণ্ডপে কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব প্রতিমা ভাঙার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনায় জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সরকারের দাবি, হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই হামলা চালিয়েছে জামাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.