অতিক্রান্ত প্রায় ৩৬ ঘণ্টা। কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) তৃতীয়বার আইপিএল ফাইনালে ওঠার পর কোনও টুইট করেননি শাহরুখ খান। অথচ কেকেআর যেভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে, তাতে শাহরুখের টুইট একেবারে প্রত্যাশিত ছিল। সেটা না হওয়ায় একটি মহলের প্রশ্ন, মাদক মামলায় ছেলে আরিয়ান জেলে থাকায় কি তাহলে কোনও টুইট করেননি শাহরুখ?
এমনিতে কেকেআর নিয়ে হামেশাই টুইট করতেন বলিউডের কিং খান। সেইসঙ্গে দল ফাইনালে উঠলে তো কথাই নেই। টুইটারে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন দলের সাফল্য। ২০১৪ সালে শেষবার যখন আইপিএল ফাইনালে খেলেছিল কেকেআর, তখন রীতিমতো উচ্ছ্বাস ভেসেছিলেন শাহরুখ। সেই বছরের ২৮ মে ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কিংস ইলেভন পঞ্জাবের (বর্তমানে পঞ্জাব কিংস) বিরুদ্ধে জিতে ফাইনালে পৌঁছানোর একাধিক টুইট করেছিলেন শাহরুখ।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন। লিখেছিলেন, ‘আমার কেকেআর…আজ কী দারণ খেলেছে! মমতাদি’র সঙ্গে ফিশ ফ্রাই (খেলাম), কলকাতার রাস্তা ধরে ঘুরলাম। সকলে আনন্দ করছেন।’ অপর একটি টুইটে শাহরুখ লিখেছিলেন, ‘টেন্ডো (রায়ান টেন ডেসকোটে), সূর্য (সূর্যকুমার যাদব), পীযূষ (চাওলা), রবিন (উত্থাপ্পা) এবং আমার সকল নাইটরা – এটা আজিন ও আব্রামের জন্য। পুঁচকেদের আনন্দিত করা এবং তাদের সবথেকে বেশি খুশি করার জন্য ধন্যবাদ।’ পাশাপাশি কিংস ইলেভেনের মালকিন প্রীতি জিন্টার টুইটের জবাব দিয়েছিলেন শাহরুখ। বলেছিলেন, ‘প্রীতি জিন্টা, আমরা আবারও খেলব। ক্রিকেট মাঠে আমাদের প্রচুর ডিম্পল চাই।
অথচ সেই ঘটনার দু’বছর আগে দিল্লি ডেয়ারডেলিসকে (বর্তমান দিল্লি ক্যাপিটালস) হারিয়ে কেকেআর যখন ফাইনালে পৌঁছেছিল, তখন কোনও টুইট ভেসে আসেনি শাহরুখ খানের অ্যাকাউন্ট থেকে। সেই সময় ওয়াংখেড়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কেকেআরের মালিক। অভিযোগ উঠেছিল, মত্ত অবস্থায় ওয়াংখেড়ের মাঠে প্রবেশের সময় শিশুদের সামনে নিরাপত্তারক্ষীদের গালিগালাজ করেছেন শাহরুখ। যদিও পরে সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তিনি। কিন্তু কেকেআর যখন ২০১২ সালের ২২ মে দিল্লিকে ১৮ রানে হারিয়ে দিয়েছিল, তখন সেই ওয়াংখেড়ে বিতর্ক মধ্যগগনে ছিল।
এবার যখন কেকেআর ফাইনালে উঠেছে, তখন বিতর্কের মধ্যে আছেন শাহরুখ। মাদক মামলায় তাঁর ছেলে আপাতত জেলে বন্দি আছেন। যিনি ২ অক্টোবর প্রমোদতরীতে পার্টির জেরে আরিয়ানকে পাকড়াও করা হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর আরিয়ানের জামিনের আবেদনের রায় ঘোষণা করবে মুম্বইয়ের আদালত। ততদিন তাঁকে জেলেই কাটাতে হবে। একটি মহলের ধারণা, পরিবারের সেই সংকটের জেরেই জনসমক্ষে কোনও মন্তব্য করেননি শাহরুখ। জনসমক্ষে আসতে চাইছেন না সম্ভবত। গত ২৩ সেপ্টেম্বরের পর কোনও টুইট করেননি।