নয়াদিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করে প্রতিমা নিরঞ্জনের উপর বিধিনিষেধ এনেছে। কারণ রাত পোহালেই বিজয়া দশমী। দুর্গাপুজোর সমাপ্তি। এবার মূর্তির বিসর্জন হবে। এই রীতি যাতে ভালভাবে হয় তার জন্য নবমী থেকেই বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। কলকাতার গঙ্গায় চার হাজারের মতো প্রতিমার বিসর্জন হয়। বেশি বিসর্জন হয় জাজেস ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখন থেকেই সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তিনটি ঘাটে মোট চারটি ক্রেন রাখা থাকছে। গঙ্গার জলে ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকবে এবং পাড়েও একটি ক্রেন থাকবে। এটা অবশ্য শুধু বাজে কদমতলা ঘাটের জন্য। আর নিমতলা–জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে। যাতে দ্রুত ক্রেন দিয়ে কাঠামো টেনে তোলা যায়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
করোনাভাইরাসের সতর্কতা এবং বিধি মেনেই হবে বিসর্জন। গঙ্গার জল দূষিত না হওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দূষণ আটকাতে ফুল, মালা–সহ পুজোর নানা উপকরণ আগেই একপাশে করা জায়গায় ফেলে দিতে হবে। সেগুলি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। নিরাপত্তার জন্য রাখা হবে পর্যাপ্ত পুলিশ।
এই বিসর্জন পর্বের যাবতীয় দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দেবাশিস কুমার। তিনি ইতিমধ্যেই ঘাট পরিদর্শনে করেছেন। প্রতিমার গায়ে থাকা রং ও রাসায়নিক পদার্থের গঙ্গায় মিশে যাওয়া রোধ করতেও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিনেই বেশিরভাগ বিসর্জন হবে বাড়ির প্রতিমা।