উড়িষ্যার ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সাধু নায়েক এই বছর দুর্গাপুজোর উদ্যোগ নিচ্ছেন।
তিনি দারিংবাড়ির বাসিন্দা। ওই এলাকায় দূর্গা পুজো হয় ঘটা করে, ২২ জনের পুজো কমিটির সদস্যমন্ডলীর সভাপতি তিনি।
এই প্রসঙ্গে নায়েকের বক্তব্য, ” আমি প্রভু যীশুর ভক্ত হতেই পারি কিন্তু তা বলে আমি দূর্গা মা এর ভক্ত হবো না এর কোনো মানে নেই। মা তো সবার। “
কিন্তু খ্রীষ্টান সমাজের কি কোনো আপত্তি আছে এতে?
“প্রথমে একটু আপত্তি ছিলোনা তা নয়, কিন্তু পরে আমি বোঝালাম খ্রীষ্টান বহুল আমেরিকা ও ইউরোপে দূর্গা পুজো ধুমধাম করেই হয়। প্রবাসী ভারতীয়রা এটা পালন করেন এবং এতে অংশ নেয় পশ্চিমী দেশের মানুষরা। খ্রীষ্টান হয়েও যদি গোঁড়ামি না থাকে, তারা তো পুজো করতে পারে , এমনকি অঞ্জলি ও দিতে পারে।”
ভারতীয় মোড়কে খ্রিষ্টান ধর্মান্তকরণের কৌশল, ক্রিপ্টো খ্রিষ্টান মতবাদ
কিন্তু বাস্তব অবস্থার বিবেচনায় বলা যায় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত জনজাতি অধ্যুষিত উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে, পশ্চিমবঙ্গে, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ডে খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা সুকৌশলে হিন্দুদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে ধৰ্ম প্রচার করছে। এক্ষেত্রে তাদের স্ট্রেটেজি হলো হিন্দু দেবতাদের পুজো পদ্ধতির বিরোধ না করে কৌশলে সনাতন ধর্মাচরণের সাথে হিন্দুদের যীশু পুজো করাবার মাধ্যমে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা।
সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার মজিদা গ্রামে খ্রিষ্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে একই ভাবে ধৰ্ম পরিবর্তনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মিশনারিদের। মার খেয়ে মাথায় ফাটে তাদের। গ্রামবাসীরা ঘটণাটির সুরাহার জন্য হিন্দু সংহতির শরণাপন্ন হন।
মিশনারিদের মধ্যে সারা ভারত জুড়ে ক্রিপ্টো খ্রিষ্টান বানাবার প্রবণতা আজকাল খুব নজরে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে বেশ লেখালেখি হচ্ছে। এই মতবাদ অনুযায়ী নামধারী খ্রিষ্টান না হলেও তাদেরকে ‘কামধারী’ বানানো হচ্ছে। নাম শুনে ও যাদব কায়দায় মনে হবে ভারতীয়, কিন্তু কাজে ও মনেপ্রাণে তারা হবে ইউরোপীয় ধর্মীয় সংস্কৃতির অনুসারী, পাশ্চাত্যের ধর্মে দীক্ষিত অর্থাৎ ভারতীয় হয়েও ভারতীয় কৃষ্টির প্রতি অনুগত নন তারা।