১১ দফা বিধিনিষেধের ঘোষণা করা হয়েছিল দুর্গাপুজো সূতনার আগে। তবে পুজোর আমেজে সেই সব বিধিনিষেধ ভুলেছে কলকাতাবাসী। দূরত্ববিধি মানার তো কোনও দৃশ্য দেখাই গেল না। পাশাপাশি করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে মাস্কহীন শহরবাসীকে দুর্গা দর্শন করতে দেখা গেল। গত তৃতীয়া থেকেই কলকাতাবাসী রাস্তায় নেমেছে পুজোর আবেগে ভাসতে। এই আবহে প্রতিদিনই রাস্তার ভিড় বাড়ছছে। রবিবার পঞ্চমীর থেকে অনেকর বেশি ভিড় ছিল সোমবার ষষ্ঠীতে।
বাস, ট্রাম, মেট্রোরর মতো গণপরিবহণে বিশাল ভিড়। রাস্তার যানজটে নাকাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। তবে পুজো বলে কথা… বেড়োতে তো হবেই। আর ঘুরতে বের হলে কি সেলফি না তুলে থাকা যায়? আর সেলফি তুলতে গেলেই খোলা হচ্ছে মাস্ক। তারপর যেন আর সেই মাস্ক পরার কোনও ইচ্ছে দেখা যায় না। পুলিশ এসে মাস্ক পরতে বললে অনেকে আবার গরমের অজুহাত দেন। সত্যি তো, অনেকটাই গরম। তবে করোনার আতঙ্কটাও যে সত্যি!
কলকাতা হাই কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল যে সর্বক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে হবে দর্শার্থীদের। সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাকি সব নিয়মকানুন সঠিকভাবে পালিত হলেও, মাস্কের বালাই নেই। পুলিশও সবটা দেখেও সেই অর্থে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছে না। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার রাস্তায় তৃতীয়ার রাত থেকেই মানুষের ঢল। কিছু মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও, সিংহভাগ লোকের মুখে নেই মাস্ক।
রবিবার অর্থাৎ পঞ্চমীতে শহরের রাস্তায় বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগে ১৯৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার, ষষ্ঠীর দিন বিকেল তিনটে পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১৩২ জন। বেআইনি গাড়ি পারকিংয়ের অভিযোগে মোট ৪০টি গাড়ি আটক করা হয়েছে। করোনার বিধিনিষেধ চলাকালীন আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় থুতু ফেলার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।