প্রতিবার থিমে তাক লাগায় দমদম পার্ক ভারত চক্র পুজো কমিটি। এবারের দুর্গা পুজোয় তারা থিমের মাধ্যমে তুলে ধরেছে কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস। আর তাই নিয়ে শুরু হল তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক আইনজীবী।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আবেদন জানালেন শুভেন্দু অধিকারী, অমিত মালব্যরা। তাঁদের অভিযোগ, জুতো দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে ন্যক্কারজনক আচরণ করেছে দমদম পার্কের ওই পুজো কমিটি। হিন্দুদের অপমান করা হয়েছে। এমনকি এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি দফতরে আধ ঘণ্টার বেশি আলোচনাও হয়।
দমদম পার্ক ভারত চক্র পুজো কমিটির এবারের পুজোর থিম ‘ধান দেব না, মান দেব না’। সেখানে প্যান্ডেলের একটি অংশ সাজানো হয়েছে জুতো দিয়ে। আর এতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। এদিন সকালেই ওই পুজো কমিটিকে আইনি নোটিস দেন জনৈক আইনজীবী পৃথ্বীজয় দাস। জুতো দিয়ে পুজো মণ্ডপ কেন তৈরি করা হয়েছে, তাই জানতে চাওয়া হয়েছে এই নোটিসে। আইনজীবীর অভিযোগ, এতে সনাতনী হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে। অসম্মান করা হচ্ছে দুর্গাকে। অবিলম্বে এই পুজো মণ্ডপ থেকে জুতো সরানোর দাবি করেন তিনি।
এদিকে ভারত চক্র পুজো কমিটির সমালোচনায় সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। শনিবার দুপুরে বিজেপির রাজ্য দফতরে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন তথাগত রায়। প্রায় ৩০ মিনিট এ নিয়ে আলোচনাও হয় তাঁদের। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তথাগত রায় বলেন, “থিমের নামে মণ্ডপে জুতোর ব্যবহার কদর্য হিন্দু বিরোধী পদক্ষেপ। শিল্পীর স্বাধীনতার মানে যা খুশি তাই নয়। দেশ ও রাজ্যকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেই হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “মণ্ডপে আজান সম্প্রীতির বার্তা, ঠিক যেমন মসজিদে পুজোর সময় মহিষাসুরমর্দিনী চালানো উচিত। কিন্তু জুতো রাখা মানে ভাবাবেগে আঘাত করা।”
এদিকে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে দাবি করেন, শিল্পীর স্বাধীনতার নামে ঘৃণ্যভাবে মা দুর্গাকে এই অপমান সহ্য করা যায় না। তিনি রাজ্যের মুখ্য ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে এ নিয়ে পদক্ষেপ করার আর্জি জানান।