বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও দিনভর মুম্বইয়ের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের দিকেই নজর ছিল গোটা দেশের। শাহরুখ খান-পুত্র আরিয়ান খানের জামিনের শুনানি এদিন সম্পন্ন হল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান আরএম নেরলিকারের এজলাসে। যদিও গৌরী খানের জন্মদিনটা একেবারেই শুভ হল না খান পরিবারের কাছে। এদিন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে খারিজ হয়ে যায় আরিয়ানের জামিনের আবেদন। আরিয়ানের পাশাপাশি না-মঞ্জুর হয়েছে আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদনও।
সতীশ মানেশিন্দের দলিল ধোপে টিকল না আদলতে। এদিন এনসিবির হয়ে আদালতে দলিল পেশ করছেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, অনিল সিং। শুরু থেকেই তিনি স্পষ্ট জানান, এই আদালতে গ্রহণযোগ্য নয় আরিয়ান খানের জামিনের আর্জি। যুক্তি হিসাবে আরমান কোহলির মামলা প্রসঙ্গে তুলে এনে তিনি স্পষ্ট করেন, আরিয়ানের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার না হলেও এই মামলায় যুক্ত অপর অভিযুক্তদের কাছ থেকে কমার্শিয়াল কোয়ান্টিটির নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে- তাই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এই মামলা কোনও অভিযুক্তকেই জামিন দিতে পারে না। প্রায় পাঁচ ঘন্টার ম্যারাথান সওয়াল-জবাব শেষে এনসিবির এই দলিল মেনে নেয় আদালত। স্পষ্ট করে, আরিয়ান খানের জামিনের আর্জি জানাতে হবে বিশেষ এনডিপিএস আদালতে। এবং সেশন কোর্টই নির্ধারণ করবে আরিয়ান জামিন পাবে কিনা। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
অন্যদিকে আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দের পালটা যুক্তি দেন, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি, তাঁঁর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে। যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা এনসিবি উল্লেখ করছে সেটিও মাদক সংক্রান্ত নয়, বরং ফুটবল সংক্রান্ত। আরিয়ান নিজের আইনজীবী মারফত এদিন কোর্টকে জানায়, ‘আমি ২৩ বছর বয়সী একটা ছেলে, আমার কোনও ক্রিমিন্যাল রেকর্ড নেই। আমাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ড্রাগস নিতে বলা হলে আমি অস্বীকার করেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ নেই। আমার ফোনের সমস্ত ডেটা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে’।
দেশে থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনও চেষ্টা সে করবে না্, এমনকি ক্ষমতাশালী বাবার ছেলে বলে তথ্য-প্রমাণের লোপাটের কোনও চেষ্টাও সে করবে না- এমন আশ্বাস দেয় আরিয়ান। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র গ্রহণযোগ্যতা না-থাকার দরুণ এদিন আরিয়ানের জামিন খারিজ হল।