এ বারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপির পরিষদীয় দল। খবর বিজেপি সূত্রে। বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় বিধায়ক পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপির পরিষদীয় নেতারা সেই অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে সূত্রে মারফৎ। গত ৬ মে মমতা মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার সময় রাজভবনে উপস্থিত ছিলেন না বিজেপির কোনও প্রতিনিধি। রীতিমতো ঘোষিতভাবে বয়কট করা হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান। এ বার ঘোষিতভাবে বয়কট না করা হলেও বিজেপি বিধায়করা বিধায়কসভায় উপস্থিতি এড়িয়ে যাবেন বলেই জানা গিয়েছে।
বিদ্যুষবার বিধানসভায় ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ জঙ্গিপুরের প্রতিনিধি জাকির হোসেন এবং সামশেরগঞ্জে নির্বাচিত আমিরুল ইসলাম বিধায়ক পদে শপথ নেবেন। বিজেপি বিধায়করা আদৌ সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন কি না, সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা এবং জল্পনা ছড়ায় বিগত কয়েকদিন। শেষ পর্যন্ত বিজেপির পরিষদীয় দল উক্ত অনুষ্ঠানকে ‘উপেক্ষা’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজেপির একটা বড় অংশের বিধায়করা জানাচ্ছেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা বা না থাকার বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশ আসেনি। তবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টা তিনেক আগে জানা গিয়েছে, এ বারও বিজেপি এই অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে।
কিন্তু কেন? বিজেপির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘা এখনও দগদগে রয়েছে পদ্মশিবিরে। যে কারণে শুভেন্দুরা আপাতত কোনও সৌজন্য দেখানোর মতো মেজাজে নেই। তার উপর বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল একেবারে শেষ লগ্নে। বুধবার দুপুর ৩ টে নাগাদ বিরোধীদের কাছে উপস্থিত থাকার আবেদন জানিয়ে ই-মেল এসেছিল।
যা নিয়ে মনোজ টিগ্গার বক্তব্য, “বুধবার বিকেলে ই-মেল এসেছে। আমি উত্তরবঙ্গে আছি। এক দিনের আমন্ত্রণে যাওয়া অসম্ভব।” শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, “দেখা যাক।” যদিও পরিষদীয় দল সূত্রে জানা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত শপথে না থাকার বিষয়ে একপ্রকার মনস্থির করে ফেলেছেন বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যরা। বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়ার কথা ঠিক করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। যা নতুন করে শাসক-বিরোধীর তিক্ততা বাড়ানোর কাজ করবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।