আফ্রিকায় চিনা কীর্তি।

এই যে বিশাল বড়ো বাড়ি দেখছেন এটা আফ্রিকান ইউনিয়ন হেডকোয়াটার, এটা ইথিওপিয়ায় চীন বিনামূল্যে বানিয়ে দিয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতীয় টাকায় 14,82,90,00,000.00 খরচ করে ২০১২ সালে। এটা আফ্রিকান এবং প্রবাসীদের ব্যবসার জন্য সম্মেলন কেন্দ্র হিসেবেও ব্যাবহার করা হয়। মূল যে ভবনটি দেখছেন সেটা ৯৯’৯ মিটার (৩২৮ ফুট) উঁচু। ভবন গুলোর মোট ক্ষেত্রফল 112,000 m2 (1,210,000 sq ft)।


কি ভাবছেন?কি সুন্দর, মহান দেশ না চীন? গরীব আফ্রিকার দেশ গুলো যেন ব্যাবসায় উন্নতি করে তাই চীন এতো গুলো টাকা নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য খরচ করে দিল? যদি তাই ভেবে থাকেন তাহলে গুগল খুড়ো কে গুঁতো মেরে দেখুন কি ফাঁদ পেতে রেখেছে চীন এই ভবন গুলো তে।


একদিন এক জাপানি আইটির এক্সপার্ট লক্ষ করে এই অঞ্চলে রাত ২টো থেকে ৩টের মধ্যে সার্ভার ইউজারদের সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে যেত। কিন্তু এই সময় ঐ বিল্ডিং এ কোউ থাকতো না। বিল্ডিং ফাঁকা থাকতো। তার সন্দেহ হয় আর সে তার পুরো টিমকে ডেকে ইনভেস্টিগেশান করে লোকেশানটা বুঝতে পারে। অফিসিয়ালদের জানানোর পর দেখা যায় চীন পুরো বিল্ডিং এর বিভিন্ন দেওয়ালের কোনায় আর ফার্নিচারে ছোট ছোট স্পাই ক্যমেরা আর মাইক্রোফোন লাগিয়ে রেখেছিল। এগুলো সারা দিন অফিসিয়ালদের গতিবিধি সব রেকর্ড করে আর তারপর রাত ২টো থেকে ৩টের মধ্যে এই ডাটা শাংঘাইতে ( চীনে) ট্রান্সফার করতো।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি চীনা কোম্পানিগুলি আফ্রিকায় কমপক্ষে ১৮৬ টি সরকারি ভবন এবং ১৪ টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। এবার বুঝতে পারছেন ভারত থেকে কেন চীনা এপ্স নিষিদ্ধ হয়েছে।


আমাদের পূর্ব-পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশ দুটোর চৈনিক প্রেমীদের, ভারতে বসবাসকারী চীনা প্রেমিকদের অবশ্যই উচিত আমার কথা বিশ্বাস না করে খুঁজে দেখা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.