তালিবান (Taliban) নেতার অন্ত্যেষ্টির সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। মৃত কমপক্ষে ২৪। এই ফিদায়েঁ হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেট (খোরাসান) রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: ‘তালিবান রোজ টুইট করে, কিন্তু আমার উপরই নিষেধাজ্ঞা’, এবার টুইটারের বিরুদ্ধে আদালতে ট্রাম্প]
তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ টুইট করে জানিয়েছে, কাবুলের ইদগাহ মসজিদের পাশে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের সাধারণ মানুষের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েচেন অন্তত ৩২ জন। সূত্রের খবর, ওই মসজিদে তালিবান নেতা জাবিউল্লা মুজাহিদের মায়ের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া চলছিল। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটায় এক আত্মঘাতী জঙ্গি। ওই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেট রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তুঙ্গে পৌঁছেছে ইসলামিক স্টেট (ISIS) বনাম তালিবান লড়াই। কয়েকদিন আগে ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখার প্রাক্তন প্রধান আবু ওমর খোরাসানিকে হত্যা করে তালিবান। গত আগস্ট মাসে কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ইসলামিক স্টেট।২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হয়। জন্মলগ্ন থেকেই তালিবান জঙ্গিদের নিজেদের ডোলে আনার চেষ্টা শুরু করে এই মৌলবাদী সংগঠনটি। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় ইসলামিক স্টেটের সেলগুলি খোরাসান শাখার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন গোয়েন্দারা।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ইসলামিক স্টেট ও তালিবানের মধ্যে বিরোধ নতুন নয়। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়।