যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্স’ মর্যাদা দিল না কেন্দ্রীয় সরকার। এর কারণ হিসেবে অর্থ বিবাদকে তুলে ধরেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, কত অর্থ দেবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে জানায়নি রাজ্য সরকার। এর জেরে ইউজিসি-র তরফে ‘ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্সে’র মর্যাদা দেওয়া হল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, সরকারি ভাবে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি যে যাদবপুর ‘ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্স’ মর্যাদা পাচ্ছে না। তবে পরবর্তীতে বিষয়টি চূড়ান্ত হলে তা পুনর্বিবেচনার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এবং ইউজিসিকে চিঠি দেওয়া হবে। এদিকে যাদবপুরের পাশপাশি জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়কেও ‘ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্সে’র মর্যাদা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘কেন্দ্রের এই মনোভাব পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষার পক্ষে অসম্মানজনক।’ ‘ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স’ মর্যাদা প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই অর্থের ২৫ শতাংশ দেওয়ার কথা রাজ্যের। তবে রাজ্যের পক্ষে সেই আর্থিক সাহায্য করা সম্ভব নয় বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছিল দুই বছর আগে থেকে। এই আবহে যাদবপুরের উপাচার্যের দাবি ছিল, আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ হাজার কোটির বদলে ৮০০ কোটি করা হোক। তবে কেন্দ্র সেই দাবি মানেনি।