বয়ান রেকর্ডের পরই গ্রেফতার করা হতে পারে মুম্বইয়ের মাদককাণ্ডে আটক ৮ জনকে। এনসিবি (NCB) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী এক-দু’ঘণ্টার মধ্য়েই আটক ৮ জনের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে এবং তারপরই তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে। এই তালিকায় শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানকেও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যে আটজনকে আটক করেছে এনসিবি, তার মধ্যে আরিয়ান খান ও তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধু আরবাজ মারচেন্টও রয়েছেন। এছাড়াও মুনমুন ধামেচা, নুপুর সারিকা, ইসমাত সিং, মোহাক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত ছোকর ও গোমিত চোপড়া নামক ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সকলেরই ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আজই তাদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে আটক ৮ জনের বয়ান রেকর্ডের কাজ শুরু হয়েছে। সকলের বয়ান আলাদাভাবে রেকর্ড করা হচ্ছে। আগামী দুই-তিন ঘণ্টা এই কাজ চলতে পারে। সেই বয়ানের পরই এনসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে গ্রেফতারি নিয়ে। একইসঙ্গে এনসিবির তরফে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরও নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই প্রমোদতরণীতে কারা কারা উপস্থিত ছিল, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামক ওই প্রমোদতরণীতে তিনদিন এক মিউজিক্যাল যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের সদস্যরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। ক্রে’আর্ক নামক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ফ্যাশনটিভি ইন্ডিয়া। আগামী ৪ অক্টোবর তা গোয়া ঘুরে ফের মুম্বইতে ফেরত আসার কথা ছিল। কিন্তু ওই প্রমোদতরণী যাত্রা শুরুর আগেই এনসিবির কাছে খবর মেলে, ওই ক্রুজে বিপুল পরিমাণ মাদক মজুত রয়েছে এবং তা সেবন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এরপরই শনিবার বিকেলে যাত্রী সেজে ওই প্রমোদতরণীতে উঠেছিলেন এনসিবির কর্তারা। জাহাজে তল্লাশি অভিযান চালাতেই কোকেন, এমডিএমএ, এক্সটেসি সহ একাধিক মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয় একাধিক যাত্রীর কাছ থেকে। সূত্রের খবর, মূলত যে আটজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মাদক রাখার প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই কারণেই জেরার পর তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হচ্ছে। এছাড়াও বাজেয়াপ্ত মোবাইলগুলিও স্ক্যানের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানের সমস্ত মেসেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনসিবির ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া ও জাহাজমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ১৫ দিন আগেই এই রেভ পার্টির খবর এসেছিল। ওই প্রমোদতরণীতে মাদক নিয়ে পার্টির খবর জানতেই এনসিবির জ়োনাল ডিরেক্টর সমার ওয়াঙ্খেড়ের নেতৃত্বে ওই তল্লাশি অভিযামন চালানো হয়। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণও মিলেছে। যারা এই পার্টির আয়োজন করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করা হবে।”