পৃথিবীর সবথেকে বড় এক্সপ্রেসওয়ে– বানাচ্ছে ভারত।

পৃথিবীর সবথেকে বড় এক্সপ্রেসওয়ে– বানাচ্ছে ভারত।। 1380 কিমির এই এক্সপ্রেসওয়ে 2019 সালে বানানো শুরু হয় এবং 2023 সালের মার্চ মাসে এটি বানানো সম্পূর্ণ হবে।। বর্তমানে দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে যাতায়াত করতে হলে সময় লাগে প্রায় 24.5 ঘন্টা কিন্তু এই রাস্তাটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর দিল্লি থেকে মুম্বাই যেতে সময় লাগবে মাত্র ১২ ঘন্টা।। বর্তমানে এই এক্সপ্রেসওয়ে টি ৮টি লেনের তৈরি করা হচ্ছে কিন্তু এর আশেপাশে এত পরিমান জায়গা রাখা হয়েছে যাতে করে আরও চারটি লেন বাড়ানো সম্ভব হয়।। মজার বিষয় এই যে ১২ লেন এর মধ্যে দুটো ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির কথা মাথায় রেখে ইলেকট্রিক বাহনের জন্য তৈরি হচ্ছে। যেখানে বাহন গুলি অটোমেটিক চার্জের মাধ্যমে চলতে পারবে।। এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করতে ভারত সরকারের খরচ হচ্ছে প্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা।। চারটি রাজ্য দিয়ে যাবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।। হরিয়ানা -৮০কিমি, রাজস্থান-৩৮০ কিমি, মধ্যপ্রদেশ-৩৭০ কিমি, গুজরাট-৩০০ কিমি, মহারাষ্ট্র -১২০ কিমি।।
এর বিশেষত্ব গুলি:-
১. এক্সপ্রেসওয়ের মাঝে কোন টোলপ্লাজা নেই।। শুরুতে এবং শেষে আপনি নির্দিষ্ট টোল কেটে যেতে পারবেন ,মাঝে কোথাও থামতে হবেনা।।
২. এক্সপ্রেসওয়েটির দুপাশে প্লাজা নির্মিত হবে।। যেখানে থাকবে অত্যাধুনিক ফুড কোর্ট থেকে শুরু করে ট্রাক এবং বিভিন্ন গাড়ি পার্কিংয়ের অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।। এছাড়াও থাকবে রিসর্ট,রেস্টুরেন্ট।।
৩. থাকছে বিপদের কথা মাথায় রেখে হেলিপোর্ট এম্বুলেন্স সার্ভিস এর ব্যবস্থা। ড্রোনের মাধ্যমে পুরো এক্সপ্রেস ওয়েটি নজরদারির মধ্যে থাকবে এবং কোথাও কেউ বিপদগ্রস্ত হলে তাকে হেলিপোর্ট এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে।।
৪. প্রায় কুড়ি লক্ষ গাছ লাগানো হচ্ছে এই পুরো এক্স প্রেসওয়েটির দুপাশে এবং মাঝে।
৫. এটি এশিয়ার প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে যেখানে পশুদের জন্য দুটি পুল নির্মিত করা হয়েছে। একটি রাজস্থানের মুকুন্দরা ও অন্যটি মহারাষ্ট্রের মাথেরণ।। এই স্থান গুলির অভয়ারণ্য থেকে যখন পশুরা বের হবে তখন যেন তারা এমন ভাবেই পুলটি কে অতিক্রম করতে পারে যেন তাদের কোনো কৃত্রিমতা উপলব্ধ না হয় ঠিক এই কথা মাথায় রেখে পুল নির্মাণ করা হয়েছে।। এশিয়ার মধ্যে পশুদের জন্য এই ধরনের ফুট ওভারব্রীজ প্রথম এবং এইস্থানে এক্সপ্রেস ওয়েটি মাটির নিচ থেকে এমনভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যাতে পরিবেশ এবং পশুদের ব্যালেন্স কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।।
৬. এটি তৈরির ফলে ভারতে প্রতি বছরে প্রায় 300 মিলিয়ন লিটার জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমবে।। যার ফলে পরিবেশ দূষণ ও কমবে।।
৭. এই এক্সপ্রেসওয়েটির কাজে প্রায় 50 লাখ man days work এরকম এম্প্লয়মেন্ট সৃষ্টি হয়েছে।।

New India Vision এর অন্যতম এই নিদর্শনের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই NHAI দপ্তর কে, ভারত সরকারের সফলতম মন্ত্রী নীতিন গদকরিজীকে।। ধন্যবাদ ভারতমালা প্রজেক্টের কান্ডারী প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.