যদি শাস্ত্র ভাঙিয়ে ই খেতে হয় তবে তাকে সঠিক ভাবে জেনে আর মেনেই করা উচিত , ব্যবসার খাতিরে সেটাকে নিজের মন মর্জি মতন পরিবর্তন করে নয়

বাঙালি কে এখন আধুনিকতা এবং Women’s empowerment এর মোড়কে ইঁদুরের বিষ্ঠা মুড়ে খাইয়ে দিলেও বাঙালি বলবে – “আহা গো কী খেলাম!”

এসব ক্ষেত্রে কার্ল মার্কসের পুঁজিবাদী তত্ত্ব গুলি খুব কাজের। কিন্তু মানুষ তো আর সব সময় এভাবে বিচার করে না। আবেগে ভাসে। তাই বোঝেও না কিভাবে শোষণ হচ্ছে তার। যেমন ধরা যাক মার্কসের “কাল্পনিক চাহিদার তত্ত্বের” কথা। এই তত্ত্ব অনুযায়ী বলা হচ্ছে, পুঁজিবাদ এমন সব জিনিস তৈরি করবে, যা মানুষের দরকার নেই, কিন্তু তারপরেও সে বস্তুর চাহিদা তৈরি হবে। এটিই হল ‘কাল্পনিক চাহিদা’। কিন্তু এভাবে আমরা বিচার করি না বস্তু গুলো। পুঁজিপতিরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যার ফলে আমাদের মনে হয় – “ওটাই ওটাই আমার চাহিদা”! বুঝি না, আর জালে জড়াতে থাকি। এই যেমন এখন খানিক জ্ঞানপাপির মতোই এটি নিয়ে কোথায় লিখছি? – না ফেসবুকে। আসলে জড়িয়ে গেছি জালে। পুঁজিপতিদের জালে। এই ব্যাখ্যা হিন্দু শাস্ত্র ধরেও দেওয়া যেতো কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভেবে নিয়ে অনেকেই লেখার গুরুত্ব দিতো না। যুগের হাওয়া। তাই কার্ল মার্কসের সাহায্য নিলাম।

এবার আসি আসল প্রসঙ্গে –

আমার বিয়ের সময় যে পুরুত মশাই আমার বিয়ে দিয়েছিলেন উনি দক্ষিণা নিয়েছিলেন ৭০০০/- টাকা। এলাকা ভেদে পুরুতমশাই ভেদে টাকাটা হয়তো কমে বা বাড়ে। আপনার যেমন সামর্থ্য আপনি তেমন ব্যয় করবেন। অর্থাৎ আপনার সামর্থ্য না থাকলে অল্প খরচেও পুরুত মশাই আপনি যোগাড় করতে আপনি পারবেন সে সুযোগ আপনার রয়েছে। এবার আসি সেই পুরুত মায়েদের কথায় যারা রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে বিয়ে দেন। কন্যাদান করেন না। তাঁরা কত দক্ষিণা নেন জানেন আপনি? একবার জানুন জানার চেষ্টা করুন। সবাই আপনার মতো আবেগে চলে না মশাই। মায়েরা “ব্র্যান্ড” হতে চাইছেন আপনাকে আধুনিকতা এবং ওমেন এমপাওয়ারমেন্টের সোনালী রূপালী বড়ি খাইয়ে। আপনিও আবেগে ভাসছেন আর ধন্য ধন্য করছেন।

কে কিভাবে ব্যবসা করবে তা নিয়ে বিন্দু মাত্র আগ্রহ আমার নেই। তাদের “ব্র্যান্ড” হতে চাওয়া কে আমি নিন্দাও করছি না। কিন্তু তারা বারবার আমার ধর্ম কে আক্রমণ করছে। শাস্ত্রীয় রীতি নীতি কে অসম্মান করছে – এই জায়গাতেই আমার আপত্তি। শাস্ত্রীয় নিয়মের ভুল ব্যাখ্যা করছেন তারা এবং সমাজ সংস্কারকের নাম কিনছেন। এখানেই আপত্তি।

যদি শাস্ত্র ভাঙিয়ে ই খেতে হয় তবে তাকে সঠিক ভাবে জেনে আর মেনেই করা উচিত , ব্যবসার খাতিরে সেটাকে নিজের মন মর্জি মতন পরিবর্তন করে নয় , আর তোষামোদ কারি মোশায়েব দের ও এই চতুর ব্যবসায়ী মুখোশের আড়ালে তথাকথিত সমাজ সংস্কারক দের বিবাহ হেতু দক্ষিণা টা জেনে ওনাদের ভজন গাওয়া উচিত।

লেখা – Sayani Dasgupta

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.