সরকারিভাবে ঘোষিত যে প্রথম পর্যায়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৬৮ টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। নিয়মানুযায়ী, জেনারেল ক্যাটাগরির একজন মহিলার এই প্রকল্প থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পাওয়ার কথা, এস সি/এস টি/ওবিসি হলে ১০০০ টাকা। আবেদনকারী মহিলাদের ৭০:৩০ এই রেশিওতেও যদি ভাগ করা হয়, তাহলেও গড়ে প্রতি মহিলার জন্য মাসিক খরচ পড়বে ৬৫০ টাকা। লক্ষ্যণীয় যে অনগ্রসর শ্রেণীর নারীদের অনুপাত বাড়লে এই টাকার সংখ্যা আরো বাড়বে। এখন ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকাকে ৬৫০ দিয়ে ভাগ করলে হয় ৩৮ হাজার ২৪৬ জন। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৮ জন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে বাকি ১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার ১২২ জন কি পাবেন?? তাদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের যে বিপুল ঘাটতি, সেই অর্থের যোগান কোথা থেকে আসবে?? মনে রাখবেন, এটি শুধুমাত্র একটি মাসের হিসেব। এই প্রকল্প অন্ততঃ এক বছর ধরে এক টানা চালাতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রয়োজন ১৩৯৫২ কোটি ৭৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। এই বিপুল অঙ্কের টাকার যোগান অর্থনীতির কোন সূত্র ধরে কিভাবে আসবে, সেই সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য কোনও মহলের তরফেই এখনও পাওয়া যায়নি। খয়রাতির এই বার্ষিক ১৪০০০ কোটি রাজ্যের নুইয়ে পড়া অর্থনীতিকে কিভাবে চাঙ্গা করবে, সেই সম্পর্কেও যথেষ্ঠ সন্দেহের অবকাশ আছে। যদি ধরেও নিই, মোট আবেদনের ১৫-২০% নাকচ হয়ে যাবে, তবুও সংখ্যাটা বার্ষিক ১১০০০ কোটির কম হয় না কোনোভাবেই।
কোন গ্রিন্স ফাংশন, ডাইভারজেন্স, কার্ল, জি মিউ নিউ, শ্রডিঞ্জারের বেড়াল এসব কিচ্ছু নেই…পাতি পাটীগণিত।
এবার ভাবুন।
Courtesy: Satyabrata Saha