কয়লাকাণ্ডে অনুপ মাজির ৪ সহযোগীকে আসানসোল আদালতে তুলল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, কয়লা পাচার সংক্রান্ত প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দিচ্ছে না অভিযুক্তরা। তাই তাদের অন্তত ৭ দিন হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে একজনকে ৪ দিন ও বাকীদের ৭ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচারকাণ্ডে অনুপ মাজি ওরফে লালা-র ৪ সহযোগী নারায়ণ নন্দ, জয়দেব মন্ডল, নিরোদ মন্ডল এবং গুরুপদকে সোমবার গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপরই আজ তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তবে ওই ৪ অভিযুক্তের আইনজীবী শেখর কুন্ডু বলেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য অভিযুক্তেদর খুব বেশিদিন হেফাজতে রাখা যাবে না। গুরুপদ মাজি ও জয়দেব মণ্ডল গুরুতর অসুস্থ। তাই জয়দেব মণ্ডলকে ১ অক্টোবর ও বাকীদের ৪ অক্টোবর আদালতে হাজির করতে হবে। ততদিন এরা থাকবে সিবিআই হেফাজতে।
কয়লাকাণ্ডের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা জানতে পেরেছে, ওইসব কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়াও কোলিয়ারির নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ খুবই ঘনিষ্ঠ। এদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ফোনের কল রেকর্ড থেকে এসব জানতে পারা গিয়েছে।
আদালতে আজ অভিযুক্তদের আইনজীবী জানান, লালার খুড়তুতো ভাই গুরুপদ মাজি ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত জেলে ছিল। তাই তার সঙ্গে কয়লা পাচারের যোগ নেই। এনিয়ে সিবিআই আইনজীবী বলেন, ২০১৫ সাল থেকে কয়লা চুরি হচ্ছে। তাতেই কাজ করতো ওই ৪ জন।
২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর রানীগঞ্জের একটি কোলিয়ারি সাইডিং থেকে ৯ টন কয়লা চুরি যায়। সেই ঘটনা তদন্ত চলছে। ওই ঘটনার সময় সাইডিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ধনঞ্জয় রায়। সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ধনঞ্জয়ের। ধনঞ্জয় ছাড়াও কোলিয়ারির ৪ জেনারেল ম্যানেজার ওই কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধেও মামলা শুরু হয়েছে।