ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়েছে প্রচারের শেষ দিনে। একদিকে যেখানে দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ফেটেছে বিজেপি কর্মীর মাথা। অপরদিকে দিলীপ ঘোষের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে শূন্যে বন্দুক তুলে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর প্রচার শেষ হওয়ার পর রাতেও স্থানীয় দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। এহেন আবস্থায় হাই প্রোফাইল উপনির্বাচন যাতে শান্তিতে সম্পন্ন হয় তার জন্য মোট ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনের তরফে।
জানা গিয়েছে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে থেকে আট কোম্পানি নিযুক্ত থাকবে কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ ডিভিশনে। ছয় কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বন্দর এলাকায়। সেন্ট্রাল ডিভিশনের জন্য বরাদ্দ এক কোম্পানি। লালবাজার সূত্রে জানানো হয়, সাউথ ডিভিশন লাগোয়া সেন্ট্রাল ডিভিশন। তাই এখানে একটি কোম্পানি মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে দক্ষিণের থেকে সেন্ট্রালে স্থানান্তরিত করা হতে পারে বাহিনীকে। উল্লেখ্য, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে মাত্র ৮টি ওয়ার্ড। এই আট ওয়ার্ডের জন্য ১৫ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে এসেছে বহু আগেই।
ভবানীপুর ছাড়াও রাজ্যে আগামীকাল ভোট রয়েছে আরও দুই আসনে। তিনটি আসন মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ৯৮০। সব বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা। এর জন্য মোট ৫২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে উপনির্বাচন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের ২৮৮টি বুথের জন্য ১৫ কোম্পানির পাশাপাশি জঙ্গিপুরের ৩৬৩টি বুথের জন্য ১৮ কোম্পানি এবং সামশেরগঞ্জের ৩২৯টি বুথের জন্য ১৯ কোম্পানি বাহিনী দিয়েই ভোট করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।