বারংবার মুসলিম আগ্রাসনের শিকার তামিলনাড়ুর হিন্দু পবিত্র স্থানগুলি।

বারংবার মুসলিম আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে তামিলনাড়ুর হিন্দু পবিত্র স্থানগুলি। এবার তামিলনাড়ুর পেরাম্বলুর জেলার ভেপান্থাত্তাইয়ের কাছে ভি. কালাথুর গ্রামে মহম্মদ খান নামে এক মুসলিম ব্যক্তি একটি মন্দিরের রথে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে।

সকাল ৭ টার দিকে, বলিকান্দাপুরাম থেকে আসা ঐ মুসলিম ব্যক্তি গ্রামের দুটি মন্দিরের রথের শেডের তালা ভেঙে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। আশেপাশের গ্রামবাসীরা মন্দিরের রথে আগুন জ্বলতে দেখে হতবাক হয়ে যায়। তারা আগুন নেভানোর জন্য ছুটে এসে মহম্মদ খানকে আটক করে। গ্রামবাসীরা মহম্মদ খানকে বেধরক মারধর করে এবং জিজ্ঞাসা করতে শুরু করে কেন সে এটা করেছে? সে বলেছে,”আমি শুধু তার জন্যই আগুন দিয়েছি।”

এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মুসলিম ব্যক্তিটি বলছে যে সে দেখতে চেয়েছিল ভিতরে কী আছে এবং তাই রথে আগুন লাগিয়েছে। সে বলেছে, “এটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। আদালত এটি না খোলার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত কেন এমন আদেশ দিয়েছে তা দেখার জন্য আমি ভেঙে ছিলাম।” একজন গ্রামবাসী তার মুখোমুখি হলে সে জানায়, “আমার বাবার নাম খাদের খান এবং আমার নাম মহম্মদ খান। আপনি আর কি বিবরণ চান? “

কোন সময়ে সে এসে আগুন লাগিয়েছে জানতে চাইলে মহম্মদ খান গ্রামবাসীদের সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে দেখে নিতে বলে। সে বলে, “আমি এটিকে দিনের আলোতে আগুন দিয়েছি।“ লোকটি বারংবার বলতে থাকে, “আমি মন্দিরের রথে আগুন দেওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। আমি শুধু আগুন লাগিয়েছি। তুমি যদি আমাকে অনুমতি দাও, আমি এখনই আগুন লাগিয়ে দেব।”

এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামবাসীরা ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। হিন্দু মুন্নানী অভিযোগ করেছেন যে তামিলনাড়ু পুলিশ এই মামলাটি ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে এই বলে যে লোকটি মানসিকভাবে অসুস্থ। যথাযথ তদন্ত না হলে সংগঠন বিক্ষোভ দেখানোর কথা ঘোষণা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.