৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি আইকোর মামলায় বাজেয়াপ্ত করল ইডি

আইকোর মামলায় তদন্তে আরও কিছুটা অগ্রগতি। চিটফান্ড সংস্থার ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আইকোর মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর এই প্রথম চিটফান্ড সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।

আইকোর গ্রুপের তৎকালীন ডিরেক্টর অনুকুল মাইতির নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতে এসেছিল ইডির আধিকারিকদের। এছাড়া তাঁর স্ত্রী কণিকা মাইতি এবং বেশ কয়েকজন নিকট আত্মীয়র নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি আইকোর সংস্থার নামে কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় একাধিক জমি, বাড়ি, আবাসন, কারখানা, শপিং মল ইত্যাদি বিভিন্ন সম্পত্তি ছিল। সেই সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি আজ বাজেয়াপ্ত করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

আইকোর চিটফান্ড সংস্থার আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলার আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে চাইছেন আধিকারিকরা। আজ তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকেও চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই। তৃণমূল নেতাকে আইকোর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তাঁরা। তলব করা হয়েছে মদন মিত্রর ছেলে স্বরূপ মিত্রকেও। সোমবার সকাল ১১ টা ২০ মিনিটেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান মদন মিত্র। জানা গিয়েছে আইকোর সংস্থার প্রোডাক্ট লঞ্চের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র। কী কারণে ওই সংস্থার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি? সংস্থার কার কার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে? এই সব বিষয়েই মদন মিত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

শুধু মদন মিত্রই নন, সম্প্রতি তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কেও আইকোর মামলায় তলব করা হয়েছিল। ভুঁইফোড় অর্থলগ্নিকারী সংস্থা আইকোর-এর একটি অনুষ্ঠানে পার্থ বাবুকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থার কর্তাদের ভূয়ষী প্রশংসাও করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। কেন রাজ্যের একজন বিধায়ক তথা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে এরকম একটি অনুষ্ঠানে হাজির হলেন তিনি, তা নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। আইকোরের ওই অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরকারি সাহায্যের কথা বলতে শোনা গিয়েছিল।

একটি বেসরকারি চিটফান্ড সংস্থাকে কী ভাবে অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে একজন মন্ত্রী সাহায্যের কথা বলতে পারেন? আইকোর সংস্থার সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক? তাঁর সঙ্গে ওই সংস্থার কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি? এই সংক্রান্ত প্রশ্নের একাধিক প্রশ্নে উত্তর খুঁজছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

আর এইসবের মধ্যেই আইকোর মামলায় বড় সাফল্য পেল ইডি। চিটফান্ড সংস্থার প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আগামী দিনে আইকোর মামলায় আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে চাইছেন ইডির আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.