রাজ্যের ভবানীপুর আসনে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হতে চলেছে। এই উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের মধ্যে কড়া টক্করের আভাস দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আজ ভবানীপুর সহ রাজ্যের তিন কেন্দ্রের নির্বাচনের জন্য প্রচারের শেষ দিন। বিকেল ৫টায় আজ প্রচার অভিযান শেষ হবে। আজ বিজেপির ৮০ নেতা আর তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীরা ময়দানে নামছেন শেষ প্রচারের জন্য।
উপনির্বাচনের মধ্যে খারাপ আবহাওয়া চিন্তায় ফেলেছে শাসক বিরোধী দুই দলকেই। তবে সরকারের চিন্তা আরও বেড়ে গিয়েছে। কারণ খারাপ আবহাওয়া, জল জমে থাকার জন্য মানুষ ভোট দিতে বের না হলে মুখ্যমন্ত্রীর চাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও, ঘূর্ণিঝড় গুলাব সরাসরি বাংলায় এসে আছড়ে পড়ছে না। কিন্তু এরপরেও কলকাতা সহ দক্ষিণ বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় রবিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে।
ভবানীপুরে উপনির্বাচনে একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মসম্মানের লড়াই, পদে টিকে থাকার লড়াই। তেমনই বিজেপির অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই। বাংলায় ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা, বিধায়ক এমনকি সাংসদও দল ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন। আগামী দিনে আরও ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা। আর এই কারণেই বিজেপি এই উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিতে চাইছে।
রবিবার তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলেন যে, মমতা এই উপনির্বাচনে ১ লক্ষের বেশি ভোট নিয়ে জিতবেন। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলেছেন, নন্দীগ্রামের মতো ভবানীপুরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবে বিজেপি। তবে ৩ অক্টোবর না এলে কে জিতছে, কে হারছে তা বলা শক্ত।