রবিবার সন্ধে নাগাদ স্থলভাগে পৌঁছে যায় ঘূর্ণিঝড় গুলাব। রবিবার সন্ধেবেলা অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূল এবং ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলের মাঝামাঝি জায়গায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। মেটেরোলজিক্যাল বিভাগ জানায়, ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে গুলাবের। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় গুলাব গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বিশাখাপট্টনম, শ্রীকাকুলামে বিদ্যুত্ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। বিশাখাপট্টনমের বেশ কিছু নিচু জায়গা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে গুলাব তাণ্ডবের জেরে গলকাল প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। ওড়িশার গঞ্জম জেলায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্য হয় একজনের। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে মৃত্যু হয়েছে দুই মৎস্যজীবীর।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
শ্রীকাকুলামের একদল মৎস্যজীবী এদিন সন্ধ্যায় সমুদ্র থেকে ফেরার সময় মান্দাসা উপকূলে গুলাবের কবলে পড়েন। নৌকায় মোট ৬ জন ছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে মাঝসমুদ্রে উলটে যায় নৌকা। নৌকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন নিরাপদে উপকূলে পৌঁছাতে পারলেও বাকিরা পারেননি। পরে দুই মত্সজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় এখনও নিখোঁজ এক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। মৃতদের প্রত্যেকেই শ্রীকাকুলামের বাসিন্দা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতিতে ওড়িশার গজপতি জেলার গুমা ও গোসানি ব্লকে দু’টি এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়। প্রাণহানি ঠেকাতে এই এলাকা থেকে প্রায় ১৬০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ আশ্রয়ে। ওডিশার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মোট ৩৯,০০০ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শ্রীকাকুলামে শতাধিক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্ধ্রের উপকূলবর্তী তিন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ-এর দল। গুলাবের জন্য ৩৪ জোড়া ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৩টি ট্রেনের সময় বদলাও হয়েছে ও ১৭টি ট্রেনের রুট বদলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে গতকালই অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে সরকমের সাহায্য করার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।