মন্দির ভাঙার ঘটনার পর আবার শিরোনামে পাকিস্তানের রহিমিয়ার খান জেলা। এবার মসজিদ থেকে পানীয় জল আনার ‘অপরাধে’ আক্রান্ত হলো এক হিন্দু পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে পাক পাঞ্জাবের রহিময়ার খান শহরে।
আলমরাম ভিল স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে একটি স্থানীয় তুলোর খেতে কাজ করছিলেন। অভিযোগ, কাজ করার পর কাছের একটি মসজিদ থেকে পানীয় জল আনতে গেলে তাঁদের উপর চড়াও হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন মানুষ।
শুধু তাই নয়, ওই হিন্দু পরিবারকে একটি ঘরে বন্ধ করে অত্যাচার চালানো হয়। হামলাকারীদের বক্তব্য, জল এনে মসজিদের ‘পবিত্রতা নষ্ট করেছে’ ওই হিন্দু পরিবার।
আক্রান্ত আলমরাম ভিল অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সদস্য। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। প্রতিবাদে থানার সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তিনি। অবশেষে শাসকদলের এক আইনপ্রণেতা জাভেদ ওয়ারিচের মদতে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে সক্ষম হন তিনি। জেলার পুলিশপ্রধান আসাদ সরফরাজ জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে হিন্দু তরুণীদের অপহরণ, ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণের মতো ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। হামলা হচ্ছে হিন্দুদের মন্দিরে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব দেখেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয় পুলিশ। গত জানুয়ারি মাসে হিন্দুদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে একটি চিঠি দেয় ‘হিন্দু ফোরাম অফ ব্রিটেন’। এই ফোরামের ছত্রছায়ায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ হিন্দু সংগঠন। জনসনের কাছে হিন্দু সংগঠনগুলির আবেদন, অবিলম্বে একটি উচ্চপর্যায়ের সরকারি কমিটি তৈরি করা হোক। সেই কমিটি পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে তদন্ত করবে। রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে নিয়ে একইভাবে তদন্তের দাবি তুলেছেন সংগঠনগুলির কর্তারা।