আগে ছিল ৩০ দিন। এবার বিমানের টিকিট ভাড়ার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার সময় অর্ধেক করে দিয়েছে কেন্দ্র। ১৫ দিন পর্যন্ত বিমানের টিকিটের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ ভাড়ার সীমা থাকবে। সেই ১৫ দিনের সীমা পেরিয়ে গেলে তথা ১৬ তম দিন থেকে কোনওরকম সীমা ছাড়াই ভাড়া নিতে পারবে উড়ান সংস্থাগুলি।
বিষয়টা ঠিক কী?ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
শনিবার নয়া নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যদি আজ ২০ সেপ্টেম্বর হয়, তাহলে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ভাড়ার সীমা নির্ধারণ করা থাকবে। আগামী ৫ অক্টোবর বা তার পরে কখনও যাওয়ার জন্য কেউ যদি টিকিট কাটেন, তাহলে তাঁদের সেরকম কোনও সীমা থাকবে না। একইভাবে কেউ যদি ২১ সেপ্টেম্বর টিকিট কাটেন, তাহলে ভাড়ার সীমা নির্ধারিত থাকবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। আগামী ৬ অক্টোবর বা তারপর থেকে সেরকম কোনও সীমা থাকবে না। আগের নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ দিন পর্যন্ত ভাড়ার ক্ষেত্রে সীমা থাকত। ৩১ তম দিন থেকে থাকত না।
জরুরি ভিত্তিতে আকাশপথে যাতায়াত (শেষ মুহূর্তে টিকিট কাটা)
জরুরি ভিত্তিতে আকাশপথে যাত্রার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কার্যকর হবে। কারণ যাত্রার ১৫ দিন আগে টিকিট কাটলে কার্যকর হবে ভাড়ার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ ভাড়ার সীমার নিয়ম।
কেন্দ্রের বক্তব্য, করোনাভাইরা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে যে উড়ান সংস্থাগুলি ধুঁকছে, সেজন্য সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে টিকিটের চাহিদা যখন বেশি থাকে, তখন যাতে যাত্রীদের অত্যধিক ভাড়া দিতে হয়, সেজন্যই সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিমানের টিকিট ভাড়া কি বাড়বে?
গত ১২ অগস্ট ঘরোয়া উড়ানের যাতায়াত খরচ বেড়েছিল। কারণ সেই সময় টিকিটের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ সীমা (৯.৮৩ শতাংশ থেকে ১২.৮২ শতাংশ) বেড়ে গিয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ৪০ মিনিটের নীচে উড়ানের টিকিট ভাড়ার সর্বনিম্ন সীমা ২,৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,৯০০ টাকা করেছিল কেন্দ্র। অর্থাৎ ভাড়া বেড়েছিল ১১.৫৩ শতাংশ। সেই ৪০ মিনিটের নীচে উড়ানের টিকিট ভাড়ার সর্বোচ্চ সীমা ১২.৮২ শতাংশ বেড়ে হয়েছিল ৮,৮০০ টাকা।
টিকিট ভাড়ায় কী কী যোগ হবে?
কেন্দ্রের তরফে যে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ সীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে প্যাসেঞ্জার সিকিউরিটি ফি, বিমানবন্দরের জন্য ইউজার ডেভেলপমেন্ট ফি এবং জিএসটি ধরা হয়নি। বিমানের টিকিট কাটার সময় সেই সংক্রান্ত ফি যোগ করা হবে।