অনুবাদ সাহিত্যের জন্য আগেই বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন বর্ষীয়ান সাহিত্যিক পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়। আর এবার সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার (Sahitya Akademi Award)-এ সন্মানিত হতে চলেছেন বাংলার এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক। ‘গালিব পত্রাবলি’ অনুবাদের সুবাদে এই খেতাব উঠছে তাঁর মুকুটে। সিউড়ির বাসিন্দা সত্তর ছুঁই-ছুঁই পুষ্পিতবাবু, উর্দু সাহিত্যের অনুবাদক হিসাবে গত চল্লিশ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন তিনি। প্রায় আড়াইশোটি উর্দু গল্প বাংলায় অনুবাদ করেছেন পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়।
তবে শুধু উর্দু গ্রন্থই নয়, গজল এবং রুবাইও লিখেছেন পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়। মির্জা গালিব এবং উর্দু সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব সাদাত হুসেন মান্টোকে নিয়েও একাধিক বই লিখেছেন তিনি।বাংলার উর্দু সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে তিনি ‘বাংলার গালিব’ নামে পরিচিত হন মির্জা গালিবের চিঠির বাংলা ভাবানুবাদ করে। মির্জা গালিবের শায়েরি নিয়ে কমচর্চা হয়নি বাংলায়, কিন্তু তাঁর চিঠি নিয়ে খুব বেশি চর্চার নির্দশন মেলে না। আর সেই কাজ সাফল্যের সঙ্গে করে দেখিয়েছেন পুষ্পিতবাবু। গালিব তাঁর চিঠি প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, ‘আমি এই একাকিত্বে শুধু চিঠির ভরসা নিয়ে বেঁচে আছি।’ পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়ের কলমে গালিবের সেই চিঠিই ফুটে উঠেছে বাংলা ভাষায়। একত্রিশ জন ব্যক্তিকে লেখা গালিবের চিঠি ‘গালিব পত্রাবলি’তে তুলে ধরেছেন লেখক। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কেমন লাগছে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মতো সম্মান পেয়ে? পুষ্পিতবাবুর কথায়, ‘পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। বেঁচে থাকতে এই পুরস্কারপ্রাপ্তির সংবাদ পেলাম এটাই আনন্দের।’ একসময় সেচ দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মী ছিলেন পুষ্পিতবাবু। পেশাগত দায়িত্ব সামলেও নিজের চেষ্টায় উর্দু ভাষাকে তিনি রপ্ত করেছেন, এরপরও থেমে থাকেননি। উর্দু ভাষার মাধুর্যকে বাংলার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে নিরলস পরিশ্রম করে গিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদ করা বইয়ের সংখ্যা প্রায় ২০টি।এছাড়া মৌলিক প্রবন্ধ, গল্প সংকলন মিলিয়ে তাঁর আরও ২০টি বই প্রকাশিত হয়েছে।