দ্রুত গতিতে ছুটছে ট্রেন। পুরো জঙ্গলঘেরা একটি জায়গা। সেই ট্রেনের সঙ্গে লাগানো রয়েছে দুটি মিসাইল। সেই ট্রেন থেকেই দুটি ক্ষেপনাস্ত্রই ছিটকে বেরিয়েছে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। তবে এটা কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। একেবারে বাস্তবের ছবি। গত বুধবার উত্তর কোরিয়ার কোনও অজানা জায়গায় এভাবেই চলন্ত ট্রেন থেকে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁড়ার মহড়ায় সফল হয়েছে কিমের বাহিনী। একেবারে নিঁখুত নিশানায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে ফেলা হয়েছে সেই দুই মিসাইল। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে রণে. বনে, জলে, জঙ্গলে সর্বত্রই যে কিমের ফৌজ পারদর্শী সেটাই বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে নানাভাবে বিপাকে পড়লেও অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে থাকতে চাইছে না উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার দাবি, ফের পরমাণু বোমার জ্বালানি তৈরির কাজে উদ্যোগী হয়েছে পিয়ংইয়ং।
এদিকে কয়েক মাস আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এব্যাপারে আঁচ করতে পেরেছিল। মার্কিন বায়ুসেনার শীর্ষ কর্তা জেনারেল গ্লেন ভনহেরেক সেনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে কয়েকমাস আগেই জানিয়েছিলেন মিসাইল পরীক্ষা না করার প্রতিশ্রুতি মানবে না বলে সোজাসুজি ইঙ্গিত দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করার তোড়জোড় শুরু করেছে কিমের ফৌজ এমন ইঙ্গিতও পেয়েছিল আমেরিকা। আর এবার বাস্তবেও তার ফল মিলেছে। মার্কিন সেনার দাবি উপগ্রহচিত্রেও দেখা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ায় আণবিক কেন্দ্রের গতিবিধি বাড়ছে। এদিকে চলতি বছরেই সে দেশের কুচকাওয়াজেও বড়সর ক্ষেপনাস্ত্র চোখে পড়েছিল। সেটা আসলে ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপন করার মতো ক্ষেপনাস্ত্র। তবে মার্কিন দাবি যে কোনও রকম হামলা রুখতে তারা তৈরি।