না, এটা কোনো ইসলামিক দেশের কথা নয়, বরং খ্রিষ্টান বহুল ব্রিটেনের কথা যেখানে মাত্র ৫% মুসলিম। ওই দেশে শরীয়ত চলে না, জনগণ গণতন্ত্রেই আস্থা রাখেন। জেহাদে জেরবার ব্রিটেনে এখন বিদ্বজনের মতপ্রকাশের জন্য পালিয়ে বেড়াবার উপক্রম। বলা যেতে পারে সভ্যতার সংঘাত ঘোরতর হচ্ছে ক্রমশ।
ঘটনার সূত্রপাত ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bristol University) একটি তর্ক বিতর্কের অনুষ্ঠানে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিশিষ্ট অধ্যাপক ডক্টর স্টিভেন গ্রীর (Dr. Professor Steven Greer) মন্তব্য করেন যে ইসলাম ধর্মের মধ্যে অন্তর্নিহিত অসহিষ্ণুতার জন্যই তৈরী হয়েছে জিহাদের তত্ব আর তা থেকেই ছড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস।
ব্যস, এটাই যথেষ্ট ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্যুলারিস্ট ও ইসলামিস্টদের জন্য। শুরু হলো আন্দোলন, সঙ্গে আবার কাউন্টার আন্দোলনও হলো, কিন্তু তা ধোপে টিকলো না। ৩৭০০ জনের সই সংগ্রহ হলো ডক্টর গ্রীর এর বিরুদ্ধে ও তারই সাথে দেয়া হলো তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি।
প্রফেসর গ্রীর-এর বই Tackling Terrorism In Britain: Threats, Responses And Challenges Twenty Years After 9/11 সামনের মাসেই বেরোবার কথা, কিন্তু তাঁর উপর আক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে এই আশঙ্কায় হয়তো বই প্রকাশ স্থগিত হতে পারে।
তিনি নিজেও তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন। কদিন আগে, অজ্ঞাত পরিচয় লোকজনকে তাঁর বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।