আমার খুব প্রিয় একটি ছবির কথা বলবো … ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম ক্ল্যাসিক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত পরিচালিত হিন্দি ছবি ‘বাঘ বাহাদুর’ l
….পরিচালক মশাই সেলুলয়েডে কবিতা লিখতে পছন্দ করেন …. জীবনের যত কর্কশ সত্যই হোক … সুন্দর সব ফ্রেমে ধরে রাখেন তিনি … যদিও শেষে চাবুকটা একটু জোরেই মারেন ….তা হোক l
ঘনুরাম ‘বাঘ’ সাজে …. বাঘের মতো অঙ্গভঙ্গি করে নাচে … তার প্রেয়সী রাধা এই ‘নকল’ বাঘের পৌরুষে গরবিনী l এমন ‘বাঘ’ ( নাকি বাঘের মতো ) মেজাজী প্রেমিকপ্রবরটি তার নিজস্ব পুরুষ …. গর্ব হওয়ারই তো কথা l কিন্ত গ্রামের লোকের ( মেয়েদের কাছে বিশেষ করে ) কাছে নকল বাঘ নেহাতই হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়, যখন গ্রামপ্রান্তে সার্কাস পার্টি আসল বাঘ নিয়ে আসে l গ্রামের অন্য মেয়েরা তো বটেই রাধাও ড্যাবডেবিয়ে দেখে ওই ‘আসল’ বাঘের ‘আসল পুরুষ’ ট্রেনারটিকে ….
উফফ কি পৌরুষ !
নিজের প্রেমিকার দৃষ্টিতে তাচ্ছিল্য দেখে কুঁকড়ে যায় ঘনুরাম l শেষে ? আসল বাঘের সাথে মরিয়া লড়াই করে সে প্রমাণ দিতে চায় সে ই আসল ‘বাঘ’ l করুন যে পরিনতি গল্পের শেষে ঘটে …… আমার এখনো বেশ মনে পড়ে কলকাতার নন্দন প্রেক্ষাগৃহে আমাকে ও আমার সহদর্শকদের তা স্তব্ধ করে দিয়েছিলো !
আজ এই ছবিটির বক্তব্য আমার কাছে খুব প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয় …. ‘বুঝ লোকে যে জান সন্ধান ‘….
পবন মালহোত্রা সারাজীবন আর কোনো ছবি না করলেও তাঁকে মনে রাখবে ভারতীয় ফিল্মজগত ( অবশ্য ‘সলিম লংড়ে পে মত রো ‘ এর মতো ছবিও তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে আছে ) , এই অসামান্য performance এর জন্য l জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তামিল অভিনেত্রী অর্চনাকে হিন্দি ছবি আর ব্যবহার করেনি , সেটা হিন্দি ফিল্ম industry রই দুর্ভাগ্য বলবো আমি l দুটি পার্শ্ব চরিত্রে দক্ষিনের নামী অভিনেতা বর্ষীয়ান কে বাসুদেবন রাও এবং বাংলার বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় অসাধারন l
সুব্রত চক্রবর্তী