আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এশিয়া মহাদেশে ভারত এর (India) অবস্থান এমন যে অলোকতান্ত্রিক শক্তিগুলির কু-নজর সর্বদা ভারতের উপর থাকে। এমতাবস্থায় অবস্থায় ভারতের এমন এক সিস্টেম প্রয়োজন যা পুরো দেশকে কবজের মতো রক্ষা করবে। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকার বড়ো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। আসলে সরকার দেশের সমস্ত সুরক্ষা ব্যাবস্থা ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলির কেন্দ্রিকরনের জন্য নেটগ্রিড সিস্টেম বিকশিত করতে চলেছে।
নরেন্দ্র মোদীর সরকার (Narendra Modi) খুব শিগগিরই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধ মোকাবিলায় ভারতের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বহু প্রতীক্ষিত ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স গ্রিড (NATGRID) চালু করতে চলেছেন। প্রকৃতপক্ষে, এই অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ডাটাবেসের চূড়ান্ত ‘সিঙ্ক্রোনাইজেশন এবং টেস্টিং’ এখন চলছে।
NATGRID হল ২১ টি ডাটাবেসের একটি মাস্টার ডাটাবেস যা সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধের বিরুদ্ধে রিয়েল-টাইম তথ্য প্রদান করবে। এতে ট্যাক্স, টেলিকম, ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড, এয়ারলাইনস এবং রেলওয়ে টিকিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট ইত্যাদি সম্পর্কিত ডেটা অন্তর্ভুক্তি থাকবে।
ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স সেন্টার (এনআইসি) এই গ্রিডের ডিজাইন করেছে, এটি একটি সিস্টেম হিসাবে কাজ করবে এবং সন্দেহভাজন কিছু দেখলে ট্র্যাক করবে এবং পরবর্তীতে শ্রেণীবদ্ধ তথ্য এবং রিয়েল-টাইম ডেটা অ্যাক্সেসের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী হামলা রোধ করতে সাহায্য করবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ১০ টি কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং ২১ জন পরিষেবা প্রদানকারী ন্যাটগ্রিডের সাথে যুক্ত হবে। এদের মধ্যে রয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি), রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ। শুধু এই নয়, পরবর্তী পর্যায়ে প্রায় ৯৫০ টি প্রতিষ্ঠান মাস্টার ডাটাবেসে যুক্ত করা হবে।
মুম্বাইয়ে ২৬/১১ হামলার পর NATGRID তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের পর কাজের গতি কমে গিয়েছিল এবং ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশে পুনরায় কাজ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই মাসের শুরুতেই একটি ইভেন্টে বলেছেন, “আমি আশাবাদী যে মোদী সরকার খুব সময়ের মধ্যে দেশকে NATGRID উপহার দেবেন।”