বর্ষা যাবে যাবে করছে। তবে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। এর সঙ্গেই করোনার দাপট এখনও কমেনি পুরোপুরি। এর মধ্যেই এবার ডেঙ্গু ম্যালেরিয়াকে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে বাংলা জুড়ে।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, বারাসত, বাদুড়িয়া, মধ্যমগ্রাম, বেলঘরিয়ার পাশাপাশি ট্যাংরা, তিলজলাতেও থাবা বসাচ্ছে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগ। এর সঙ্গেই মালদহ, হুগলি, মধ্য হাওড়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা থেকে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। আর এতেই ঘুম ছুটেছে স্বাস্থ্য দফতরের। বিশেষজ্ঞদের দাবি প্রায় চার বছর পর ফের রাজ্যে থাবা বসাচ্ছে মশাবাহিত রোগ। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, রাজ্য়ে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এবার কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে গোড়া থেকেই পরিকল্পনা করে এগোতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। একেবারে নীচুতলায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠানো হবে। কেউ কোথাও জ্বরে ভুগছেন কি না সেব্যাপারেও তাঁরা খোঁজ রাখতে পারবেন। ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার ওষুধ থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। সেকারণে সতর্ক হয়ে পা ফেলার কথা বলছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কেন আচমকা মশাবাহিত রোগের এই বাড়বাড়ন্ত?
স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, নির্মীয়মান বাড়িতে জল জমে মশার আতুরঘর তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন খালেতেও মশা জন্মাচ্ছে। এরকম ২১টি খাল সংস্কারের কথা বলা হয়েছে স্বাস্থ্যদফতরকে। আগামী সপ্তাহে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য় আধিকারিকদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবে স্বাস্থ্যভবন।