রবিবাসরীয় রাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার) যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন নোভাক জকোভিচ ও দানিল মেদভেদেভ। একদিকে জকোভিচের ঐতিহাসিক ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের হাতছানি, তো অপরদিকে ছিল মেদভেদেভের প্রথম স্ল্য়াম জেতার সুযোগ। বিশ্বের এক নম্বর তারকাকে স্ট্রেট সেটে মাত দিয়ে খেতাব উঠল মেদভেদেভের হাতেই।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে বারংবার প্রথম সেটে হাতছাড়া করেও ম্যাচ জিতেছেন ‘জোকার’। তাই ৬-৪ ব্যবধানে মেদভেদেভ প্রথম সেট জিতলেই আশাহত হননি জকোভিচ সমর্থকরা। তবে গোটা টুর্নামেন্টের ধারা বজায় রাখতে ব্যর্থ হন রেকর্ড গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সার্বিয়ান। দ্বিতীয় সেটেও একাধিকবার জকোভিচের সার্ভ ব্রেক করে পুনরায় ৬-৪ ব্যবধানে সেট নিজের নামে করেন বিশ্বের দুই নম্বর টেনিস তারকা মেদভেদেভ।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
গোটা ম্যাচে নিজের স্বভাবচিত ছন্দে একেবারেই ছিলেন না জকোভিচ। মতান্তরে বিশ্বটেনিসে যার ডিফেন্স সবথেকে ভাল বলে বিবেচ্য হই, সেই জকোভিচকেই মেদভেদেভের আক্রমণাত্মক ও রীতিবর্জিত টেনিসের সামনে খানিকটা অসহায়ই দেখায়। এক সময় তৃতীয় সেটে ৫-১ এগিয়েও যান মেদভেদেভ। তবে জকোভিচ সহজে হার মানার মানুষ হন। তৃতীয় সেটে মেদভেদেভের সার্ভ ব্রেক করে ম্যাচে ফিরে আসার আশা জাগান তিনি।
রাশিয়ান তারকা চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্টে ডবল ফল্ট করে সুযোগ হাতছাড়া করেন। পরপর তিন পয়েন্ট জিতে জোকার স্কোর ৫-৪ করে ফেলেন। চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য সার্ভ করে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট পেয়েন্ট পেয়েও আবারও ডবল ফল্ট করেন মেদভেদেভ। তবে এবার আর পয়েন্ট খোয়াননি তিনি।
ব্র্যাড পিট, মারিয়া শারাপোভাদের উপস্থিতিতে আর্থার অ্যাশে নিজের প্রথম স্ল্যাম জিতে নেন ২৫ বছর বয়সী রাশিয়ান। ম্যাচের ফল তাঁর পক্ষে ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪। প্রসঙ্গত, মারাট সাফিনের ২১ বছর পর প্রথম রাশিয়ান পুরুষ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতেন মেদভেদেভ। তাঁর জয়ের ফলে পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগের সিঙ্গেলসেই নতুন স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন পেল টেনিসবিশ্ব।