৩০ অগস্ট আফগানিস্তান ছাড়ার আগেরদিন কাবুলে ড্রোন হামলা চালিয়ে আইএস-খোরাসান জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথাকে খতম করার দাবি করা হয়েছিল মার্কিন প্রশাসনের তরফে। তবে সম্প্রতি মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী। সেই ড্রোন অভিযানে কোনও আইএস-কে জঙ্গি মারা যায়নি। বরং সেই অভিযানে মার্কিনিদের সাহায্য করা এক ত্রাণ কর্মীর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির হাতে জল ছিল, বোমা না। আর এই খবর প্রকাশ হতেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন।
২৬ অগস্ট কাবুল বিমাবন্দরের বাইরে এক আত্মঘাতী হামলায় প্রায় ১৭০ জন আফগান প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাছাড়াও মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জন মার্কিন সেনাকর্মীর। এরপরই পূর্ব আফগানিস্তানে একটি ড্রোন অভিযান চালিয়েছিল আমেরিকা। যদিও সেই ড্রোন অভিযান নিয়েও সংশয় ছিল। এরপর কাবুল ফের একটি রকেট হামলা হয়েছিল বিমানবন্দরের কাছে একটি বাড়িতে। এরপরই পাল্টা আঘাত আনে আমেরিকা। আমেরিকার দাবি, কয়েকজন আইএস জঙ্গি ড্রোন হামলায় নিহত হয়। তবে সেই দাবি নাকচ করছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আফগান মাটি ছাড়ার আগে বাইডেন প্রশাসনের নির্দেশে চালানো ‘ফাইনাল অ্যাসল্টে’ মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১০ জনের। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল বলে জানা গিয়েছে। ভিডিয়ো বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা গিয়েছে এই ড্রোন হামলার জেরে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র এজমারাই আহমেদি। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সংস্থায় চাকরি করতেন। তিনি এই পরিস্থিতিতে জল এবং ত্রাণ সামগ্রী সর্বরাহের কাজে যুক্ত ছিলেন।