নাম ঘোষণা হতেই মমতাকে নিয়ে প্রথম বয়ান দিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল! শুনে উৎসাহিত বিজেপি কর্মীরা

ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। একুশের নির্বাচনে এন্টালি থেকে তিনি লড়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়েছিলেন। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিজেপির এত নেতা–নেত্রী থাকতে প্রিয়াঙ্কাকে কেন বেছে নেওয়া হয়েছে?‌ বিজেপির অন্দরে অনেকে নিমরাজি হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই প্রার্থীকেই সিলমোহর দিয়েছেন।

উল্টোদিকে, নাম ঘোষণা হতেই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। প্রার্থী ঘোষণা হতেই তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, ইতিমধ্যে আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে টেনে নিয়ে গিয়েছি। আদালতে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল প্রমাণিত করেছি। এই ভবানীপুরের মাটিতে জন্ম আমার। এটা আমার ”নানীবাড়ি” এলাকা, প্রতিটা রাস্তার বাঁক আমার চেনা। এখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার হারাবো। চ্যালেঞ্জ করলাম আমি।


“মমতাকে হাইকোর্টে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব!” এই মন্তব্য শুনে রীতিমতো উৎসাহিত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তারা দ্বিগুণ মনোবল নিয়ে পুনরায় মাঠে নেমেছে ভোট যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, মানুষের দাবিদাওয়া বুঝি আমি। মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে আমিই জিতব। মানুষ যখন দিনের পর দিন ঘরছাড়া হয়েছে, ঘরের মেয়েরা ধর্ষিতা হয়েছে- তখনও তিনি মুখে কুলুপ এঁটে বসে থেকেছেন। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে মানুষকে বাড়ি থেকে টেনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমি সেইসমস্ত গৃহহীন মানুষকে সুস্থভাবে ঘরে ফেরানোর কথা বলেছি।

বর্তমানে বিজেপির পদাধিকারী প্রিয়াঙ্কা
বিগত সাতবছর ধরে বিজেপিতে থাকার সময়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২০-র অগাস্টে তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সহ সভাপতি হন।প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, তিনি ভবানীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মনোনীত প্রতিনিধি। সেজন্য তিনি ভবানীপুরবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির পক্ষে ভোট দিতে। কেননা তিনি ভাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে দেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। একই কারণে বাংলার‌ও উন্নতি হবে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বাবুল সুপ্রিয়কে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে গাইড করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিজেপির অন্দর সূত্রে খবর, একুশের নির্বাচনের পর প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক মামলায় আইনজীবী হিসেবে কঠিনভাবে লড়াই করতে। এছাড়া নানা হাতে গরম ইস্যুতে তিনি এখনও রাস্তায় নেমে কাজ করেন। দলের বহু মামলা তিনি দক্ষতার সঙ্গে লড়ছেন।

নতুন প্রজন্মের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার দারুণ ভালো যোগাযোগ রয়েছে বলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করেন। জাতীয় ও রাজ্যের সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন বিতর্ক–সভায় তিনি বিজেপির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। শুধু তাই নয়, সেখানে বিজেপির স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরেছেন। দলের মুখপাত্র না হয়েও বিজেপির পক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ইস্যু ভিত্তিক সদর্থক ভূমিকা নিয়েছেন। এর ফলে বঙ্গ–বিজেপি খানিকটা অক্সিজেন পেয়ে চলেছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, দুঁদে আইনজীবীর পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা একজন মহিলা। তাই মহিলার বিরুদ্ধে মহিলা প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনিই উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.