সম্প্রতি হুড়মুড়িয়ে বাড়ছিল চিনির দাম। তাতে লাগাম টানতে এবার চিনির দাম বেঁধে দেওয়ার পথে হাঁটল বাংলাদেশ সরকার। জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত খোলা বাজারে এক কিলোগ্রাম চিনির দাম পড়বে ৭৪ টাকা। প্যাকেটজাত চিনির গ্রাহকদের ৭৫ টাকা গুনতে হবে।
বৃহস্পতিবার চিনির মিলের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সরকার। বৈঠকে ছিলেন মেঘনা গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপ-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকের পর বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সম্প্রতি প্রতি কেজি চিনির দাম ৮০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। অগস্টের গোড়ার দিকে এলসির নিরিখে নয়া দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই নয়া দাম কার্যকরের জন্য নজরদারি চালানো বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রক। তবে শুধু চলতি মাসে নয়, এবার থেকে প্রতি মাসে চিনির দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার।
চলতি বছরের বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশে প্রতি কেজি চিনির দাম ৬০-৬৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু অগস্ট থেকে বাড়তে থাকে দাম। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে চিনির কাঁচামালের দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে পণ্য পরিবহনের খরচও। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, করোনার মধ্যেই পণ্য পরিবহনের খরচ প্রায় ৩৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তার প্রভাবে বাংলাদেশের খুচরো বাজারেও বাড়তে শুরু করেছিল চিনির দাম। সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতি টন চিনির দাম ৫০০ ডলারের ছুঁয়ে ফেলতে চলেছে। আপাতত প্রতি টন চিনির গড় দাম ৪১৯ ডলার ধরা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে পাইকারি বাজারে চিনির দাম কত হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।