আফগানিস্তানে তালিবান ২.০-র ‘অত্যাচার’ যত সামে আসছে, ততই চিন্তা বাড়ছে গোটা বিশ্বের। তবে বিশেষ করে উদ্বেগ বাড়ছে উপমহাদেশ এবং মধ্য এশিয়ায়। ইতিমধ্যেই পেন্টাগন প্রধান দাবি করেছেন যে তালিবানের উত্থানে ফের আফগানিস্তানে মাথাচাড় দিয়ে উঠতে পারে আল-কায়দা। এমনিতেই ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর লক্ষ্যে বহু আল-কায়দা মডিউল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানকে কাজে লাগিয়ে ভারতের উপর, বিশেষ করে কাশ্মীরে ‘জেহাদে’র চোখরাঙানি কট্টরপন্থী শক্তিদের। কাশ্মীর নিয়ে তালিবানের অবস্থানও স্পষ্ট নয়। একবার তাদের তরফে বলা হয় যে কাশ্মীরের বিষয়ে তারা নাক গলাবে না, আরেকবার বলা হয় কাশ্মীরের হলে তাদের ‘সুর চড়ানোর’ অধিকার রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
১৫ অগস্ট কাবুলের দখল নেয় তালিবান। এরপর এই প্রথম কাশ্মীরের উপর ফোকাস রেখে বিশেষ বৈঠকে বসলেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সচিব সামন্ত গোয়েল, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, সেনা প্রধান এম এম নারভানে, বিএসএফ-এর পঙ্কজ সিং এবং সিআরপিএফ-এর কুলদীপ সিং।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার কাশ্মীর এবং তালিবানি সমস্যা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ এই বৈঠক হয় নর্থ ব্লকে। বৈঠকে আফগানিস্তানের মুহূর্মুহূ পরিস্থিতি পরিবর্তনের বিষয়টি উঠে আসে। এদিকে এই পরিবর্তনের জেরে কাশ্মীরের উপর কী প্রভাব পড়ছে, তা বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হয়। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কাশ্মীরি কট্টরপন্থীদের সক্রিয় করে তুলেছে। এর জেরে নিরাপত্তাবাহিনীর কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে নিযুক্ত সিআরপিএফ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে শ্রীনগর। চলতি বছরে উপত্যকায় ৭৫ টি জঙ্গি কার্যকলাপের মধ্যে ১৬টি হয়েছে শ্রীনগরে। এই পরিস্থিতিতে তালিবানের উত্থানকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীরকে অশান্ত করে তুলতে চাইছে পাকিস্তান। তাই সর্বক্ষণ সজাগ রয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ান এবং গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিত অমিত শাহ, ডোভালদের এই বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।