নথি ছাড়াই নিয়োগ! প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে কর্মরত ১৫ হাজার শিক্ষকের তালিকা চাইল হাইকোর্ট
প্রাথমিক শিক্ষক পদে নথি ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে। এমন অভিযোগেই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। ইতিমধ্যে নিযুক্ত ১৫ হাজার শিক্ষকের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরে বাসিন্দা স্বদেশ দাস প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পান। কিন্তু পরে জানা যায় তাঁর প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাই নেই। এরপরই তাঁকে বহিষ্কার করে পর্ষদ। পাল্টা পর্ষদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন তিনি। স্বদেশবাবুর দাবি, তাঁর মতো উত্তর দিনাজপুর জেলায় আরও ১৩ জন এরকম চাকরিপ্রাপক আছেন যাঁদের প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তাঁরা কীভাবে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন? ব্যস, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে।
শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল তীব্র সমালোচনা করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে। সরকার পক্ষের কাছে তিনি জানতে চান ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কত ছিল। সরকারি আইনজীবী জানান, প্রায় ১২ লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার মধ্যে চাকরি পান ১৫ হাজার। তার পর সেই তালিকা দেখতে চান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘কার যোগ্যতা রয়েছে, কার নেই, তার পুরোটাই আমি দেখব।’
আইনজীবী শুভ্রপ্রকাশ লাহিড়ি বলেন, একটা জেলায় যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে গোটা রাজ্যে এমন চাকরি প্রাপকদের সংখ্যা কত হতে পারে! গোটা প্রক্রিয়ায় বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাই কোর্টে পূর্ণ তালিকা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।