রাজ্য সরকারের হাতের পুতুল হয়ে থাকবে না পুলিশ! পুরো সিস্টেম বদলাতে চলেছেন অমিত শাহ

দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুলিশ এবং প্রশাসন। তাই পুলিশি ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত রাখা জনপ্রতিনিধিদের অন্যতম গুরু দায়িত্ব। পুলিশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্তের চিন্তা ভাবনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ব্যুরো অব পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করাকালীন এমন‌ই ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংস্থার কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।


তিনি বক্তব্য রাখাকালীন বলেছেন, দেশীয় পুলিশি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। বিশেষ করে আইপিসি, সিপিসি, এভিডেন্স অ্যাক্টের রদবদল দরকার। তিনি বলেছেন, সরকার বিচার ব্যবস্থায় বৃহৎ পরিবর্তন আনতে চলেছে। এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা হলে পুলিশ কোনোভাবেই সরকারের অঙ্গুলি নির্দেশের ওপর নির্ভর করবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে বলেছেন, পুলিশকে বহু ক্ষেত্রে অযাচিত সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। যদিও তাদের জীবন ভীষণই কঠিন, তাদের কর্মপদ্ধতি ভীষণ বিপদসংকুল। তিনি বার অ্যাসোসিয়েশনের মোট ১৪ টি রাজ্য এবং তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশি ব্যবস্থায় পট পরিবর্তনের কথা বলেছেন।

এছাড়াও মৃত্যুদণ্ডের পর মার্সি পিটিশন সংক্রান্ত বদলের চিন্তা শুরু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মন্ত্রক সূত্রে খবর, আইপিসি, সিপিসি, এভিডেন্স অ্যাক্টে এমন কিছু আইন বিদ্যমান যার কারণে মামলাগুলি দীর্ঘায়িত হয়। এমন কিছু মামলা আদালতে আসে যা দীর্ঘ বছর ধরে চলতে থাকে।

সেইসব মামলা যাতে দীর্ঘকাল না চলে সেজন্য সংশোধনের রাস্তায় হাঁটতে চায় সরকার।১২৪এ তথা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলের জন্য সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীরা আওয়াজ তুলেছে কিন্তু শাহ স্পষ্ট জানিয়েছে এই ধরনের আইন কোনোভাবেই বাতিল করা যাবে না, এতে অপরাধ ও অপরাধী উভয়েই প্রশ্রয় পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.