প্রথম থেকে নবম শ্রেণির সিলেবাসে ৩০-৩৫% কাটছাঁট, এত দেরিতে কেন? উঠছে প্রশ্ন

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার কমানো হচ্ছে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্যক্রম (সিলেবাস)। রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সুপারিশ মতো ৩০-৩৫ শতাংশ পাঠ্যক্রম কমানো হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্ষদের কাছে পাঠানো হয়েছে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রম। পর্ষদ সবুজ সংকেত দিলে এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সেই নয়া পাঠ্যক্রমেই ক্লাস হবে।

যদিও সেপ্টেম্বরে পাঠ্যক্রম কমিয়ে আদৌও কোনও লাভ হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একাংশের বক্তব্য, সাধারণ শিক্ষাবর্ষ মেনে তো ইতিমধ্যে অনলাইনে কয়েক মাস ক্লাস হয়ে গিয়েছে। পাঠ্যক্রমের একাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। হাতে বেশিদিন পড়ে নেই। সেই পরিস্থিতিতে পাঠ্যক্রমে কাটছাঁট করার ফলে কী লাভ হবে? এমনটাও তো হতে পারে, পাঠ্যক্রমের যে অংশটুকু পড়ানো হয়ে গিয়েছে, সেটার একাংশও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে তো কোনও লাভ হবে না।

সেই যুক্তি অবশ্য মানতে রাজি নয় শিক্ষক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, রাজ্যের বিভিন্ন শহুরে এলাকার ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন ক্লাসে সমস্যা না থাকলেও প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারা সেভাবে ভার্চুয়াল ক্লাস করে উঠতে পারেনি। তার ফলে পাঠ্যক্রমের বেশিরভাগটাই তাঁদের পড়া হয়নি। অনেকক্ষেত্রে পড়া হলেও ইন্টারনেট-জনিত এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে তাঁরা পাঠ্যক্রমের অনেক বিষয় হয়ত বুঝতে পারেনি। পুজোর পর যদি স্কুল খুলে যায়, তাহলে তারা সেই বিষয়গুলি স্কুলেই পড়ে নিতে পারবে। পাঠ্যক্রমের বোঝা কম থাকায় হাতে সময়ও মিলবে।

রাজ্যের পাঠ্যক্রম কমিটির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণামতো করোনার তৃতীয় আছড়ে না পড়লে পুজোর ছুটির পর স্কুল খুলবে। তারপর হাতে বেশিদিন সময় থাকবে না। তবে যতদিন সময় পড়ে থাকবে, সেই সময়ের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের কাঁধে যাতে বাড়তি বোঝা না চাপে, তা নিশ্চিত করার জন্য পাঠ্যক্রম কমানো হয়েছে। স্কুল খোলার পর পড়ুয়াদের অ্যাক্টিভিটি টাস্কও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.