সিম বক্স প্রতারণা কাণ্ডের পান্ডা শাহ আলম ও আফতাব খানকে গ্রেফতার করার পর তদন্তে নেমে চোখ ছানাবড়া এস টি এফের, জেলায় জেলায় সিম বক্স ব্যবহার করে এত বড় প্রতারণার জাল বেচানোর পিছনে কি জঙ্গি যোগ রয়েছে?

সিম বক্স প্রতারণা মামলার তদন্তে নেমে রীতিমতো চোখ ছানাবড়া গোয়েন্দাদের। অন্যতম ২ অভিযুক্ত বাংলাদেশে পালানোর সময় ধরা পড়ল রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে। রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় পেট্রাপোলের কাছে জয়ন্তীপুর থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিন সকালে বনগাঁয় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ থেকেই ২ অভিযুক্ত শাহ আলম ও আফতাব খানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তাদের জেরা করেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনাপুরের জগদ্দলে আরও একটি ঘাঁটির খোঁজ মেলে। সেখানে অভিযান চালায় এসটিএফ। পুলিশ সূত্রে দাবি, সোনারপুরের সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরও ৭টি সিম বক্স। গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সিম বক্স ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ।

ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড, যোগাযোগের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। তবে কেন রাজ্যজুড়ে এভাবে সিম বক্স ব্যবহার করে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল অভিযুক্তরা, তা নিয়ে চিন্তায় গোয়েন্দারা।

নিছকই সাইবার প্রতারণার ছক? নাকি, কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে তা বিদেশি কোনও জঙ্গি সংগঠনের তহবিলে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের?
জেলায় জেলায় সিম বক্স ব্যবহার করে এত বড় প্রতারণার জাল বেচানোর পিছনে কি জঙ্গি যোগ রয়েছে? ধৃতদের জেরা করে তাই এখন জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।

রাজ্যজুড়ে সক্রিয় সাইবার প্রতারণা চক্র। পুলিশ সূত্রে খবর, তালতলা থানা এলাকার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ঘর ভাড়া নিয়ে ঘাঁটি গেড়েছিল অভিযুক্তরা। ২ দিন আগেই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালায় STF। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ২ অভিযুক্তকে। অন্য জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে। উদ্ধার হয় কমিউনিকেশনের প্রচুর যন্ত্রপাতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.