জার্মানি এখন হয়ে উঠেছে ইউরোপের ইসলামিক জঙ্গিদের আঁতুরঘর। একই সঙ্গে এঞ্জেলা মের্কেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে জেগে উঠছে অতি দক্ষিনপন্থী সংস্থাগুলো। বিক্ষোভ অনেক সময় নিচ্ছে হিংসার আকার ও। মসজিদ ও ঘেটোগুলোকে টার্গেট করে আক্রমণ শানানো হচ্ছে নব্য নাৎসিদের তরফ থেকে।
নব্য নাৎসিদের সূত্র গোয়েন্দা রিপোর্টকে ভিত্তি করে বলছে , জার্মানিতে ৭৫% মুসলিম শরণার্থীই কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সাথে কম বেশি যুক্ত, সুতরাং শরণার্থীদের কোনোমতেই রেয়াত করা চলবে না।
দক্ষিনপন্থীদের বক্তব্য কয়েক মাস আগে এস ডেনিসে( Denise) নামে এক জার্মান(German) মহিলাকে শরণার্থীরা মগজ ধোলাই করে ইসলাম ধর্মে ঘর্মান্তরিত করে করে দক্ষিণ জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের গেরেটসরিড শহরে(Geretsried, Bavaria, Germany)।
কয়েক মাসের মধ্যেই সে হয়ে ওঠে জার্মানি তে অন্যতম ইসলামিক স্টেট (Islamic State)কোঅর্ডিনেটর।
সে নাকি এন জি ও র মাধ্যমে সে জার্মানি থেকে টাকা পাচার করতো ইরান(Iran) , প্যালেস্টাইন (Palestine) , এমনকি কাশ্মীরেও (Kashmir)।
জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা বি এন ডি (Bundes Nachrichten Disch or BND) তার উপর নজর রাখছিলো অনেকদিন ধরেই। আচমকা এন জি ও দফতরে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় ডেনিসে কে। এই সূত্র ধরেই ধরা পরে তার সঙ্গী ও ইসলামিক স্টেটের আর এক জঙ্গি এ আইমিন (A Aymin)।
এই মুহূর্তে, তথ্য বলছে ইউরোপের ৩৩০ জন দাগি রেজিস্টার্ড জিহাদিদের মধ্যে ১৮৬ জনই জার্মানি তে আশ্রয় পাওয়া মুসলিম শরণার্থী। এদের মধ্যে ১৪৪ জনকে অতি ভয়ঙ্করের তকমা দিয়েছে বিভিন্ন দেশের সরকার।
এই খবর সামনে আসতেই নড়ে চড়ে বসেছে জার্মান সরকার ۔ শুরু হয়েছে সাড়া দেশ ব্যাপী জাতীয়তাবাদী শক্তিদের বিক্ষোভ প্রদর্শন।