জেহাদি ও ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের অন্যতম আস্তানা হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ। কাঠ মিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি সবজিওয়ালা থেকে প্রযুক্তিবিদ, জেহাদে মগজধোলাইকৃত ব্যক্তিদের কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে রাজ্য যা জাতীয় সুরক্ষায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে চিন্তায় রাখছে।
কলকাতায় বেড়াতে, পড়তে ও চিকিৎসা করতে আসা বাংলাদেশিদের উপর রাখা হবে নজরদারি বললেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা আধিকারিক।
ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা বাংলাদেশীকে জেরা করে তাঁর থেকে একাধিক গোপন ডেরার খবর এবং অনেক কিছু উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। সেই সঙ্গে সূত্র পেয়ে ধৃত মামুনের দুই সঙ্গী নদিয়ার ইরশাদ ও শিলিগুড়ির রঞ্জিতকেও ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এসটিএফের পর আগামীকাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল এদের জেরা করবে।
উদ্ধার হওয়া সামগ্রী দেখে, ধৃতদের সঙ্গে জঙ্গি যোগের সন্দেহ করছে গোয়েন্দারা। আরও জানা গিয়েছে, সিম বক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কাতার, ইরাক, ইরান, পাকিস্তান থেকে ফোন আসত মামুনের কাছে। আর সেই ফোন কলগুলোকে সিমবক্সের মাধ্যমে কনভার্ট করে লোকাল কলে পরিণত করত মামুন। আর তারপর ইরশাদ এবং রঞ্জিত নিজেদের কাজ করত। এই কাজের মূল পান্ডা হলেন মামুন।
সাধারণত জঙ্গি সংগঠনরাই এই ধরনের সিম বক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ কর্তারা। সেই কারণে এই কেসের সঙ্গে কোন জঙ্গি যোগ আছে কিনা, তা ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারে ধৃত ৩ জনের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।