চূড়ান্ত নাটকের সাক্ষী থাকল বিশ্ব ফুটবলের মহাযুদ্ধ। করোনাভাইরাস নিয়ে বিতর্কের জেরে ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই থমকে গেল ২০২২ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা-অর্জন পর্বের ব্রাজিল বনাম আর্জেন্তিনার ম্যাচ। খেলা শুরুর বাঁশি বাজার মিনিট সাতেক পরে সাও পাওলোর মাঠে ঢুকে আসে ব্রাজিলের পুলিশ।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা দাবি করেছেন, আর্জেন্তিনার চারজন খেলোয়াড় করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছেন। সরকারিভাবে তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, জিওভানি লো সেলসো, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ এবং এমি বুয়েনদিয়াকে ঘিরে যত বিতর্কের সূত্রপাত। তাঁরা নাকি মিথ্যা কথা বলেছেন। মার্তিনেজ খেলেন ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায়। টটেনহ্যামে খেলেন রোমেরো এবং জিওভানি। তাঁরা প্রথম একাদশে ছিলেন। গ্যালারিতে ছিলেন বুয়েনদিয়া।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ব্রাজিলের প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই চার খেলোয়াড়কে বাধ্যতামূলকভাবে নিভৃতবাসে থাকতে হবে। তাঁরা রবিবারের ম্যাচে খেলতে পারবেন না। মেনে চলতে হবে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ নিয়ম। যে নিয়ম অনুযায়ী, যাঁরা ব্রিটেন থেকে ব্রাজিলে আসছেন, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
যে ঘটনাকে ঘিরে মাঠের মধ্যে ব্রাজিল এবং আর্জেন্তিনার খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। কিছুক্ষণ পর মাঠ ছেড়ে টানেলে ঢুকে যান আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। তবে লিওনেল মেসিকে দেখা গিয়েছে মাঠে। টেলিভিশনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কেন ওরা খেলা শুরু করল এবং পাঁচ মিনিট পর বন্ধ করে দিল? আমরা স্টেডিয়ামে এক ঘণ্টা ছিলাম। ওরা আমাদের বলতে পারত।’ নেইমার-সহ ব্রাজিলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তবে ম্যাচ আদৌও আর শুরু হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।