বাংলাদেশী জঙ্গি থেকে শুরু করে পুলিশ আধিকারিক, এদের সবারই নিরাপদ আস্তানা হলো পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের মাটি ব্যবহার করেই চলছে সমস্ত ধরণের নাশকতা। এর প্রমাণ ও মিলছে একের পর এক বাংলাদেশী নাগরিকদের রাজ্যে গ্রেফতার হওয়ার পর। ইতিপূর্বে কখনো হিন্দু, আবার কখনো খ্রিষ্টান নাম ভাঁড়িয়ে নাশকতার জাল বিস্তার করেছে বাংলাদেশীরা। এই অপরাধীদের মধ্যে বেশিরভাগই জামাতুল মুজাহিদিনের সদস্যরা।
এবার কোচবিহার সীমান্তে বি এস এফের হাতে ধরা পরে বাংলাদেশ পুলিশের আধিকারিক যে পালিয়ে নেপাল যাওয়া ছক কষেছিল।
প্রতারণার মামলা অভিযুক্ত শেখ সোহেল রানার কাছ থেকে মিলেছে ৪টি ডেবিট কার্ড, প্রচুর ওষুধ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এক অনলাইন বিপণী সংস্থা খুলে ১১০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ধৃতের বিরুদ্ধে।
সেই পুলিশ আধিকারিককে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ জওয়ানরা।
কয়েকদিন আগেই ধৃত সোহেল চিন ও থাইল্যান্ড ঘুরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সোহেলের যোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। পুলিশের তত্ত্বাবধানে মেখলিগঞ্জ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করা হয় বাংলাদেশি এই পুলিশ আধিকারিকের।
তদন্তকারীরা ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, ধৃত ঢাকায় বনানী থানার পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। ধৃত বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে নেপালে পালানোর ছক কষেছিলেন। ধৃত সোহেল রানা বাংলাদেশের ই-অরেঞ্জ দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এই সংস্থার মাধ্যমে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ১১০০ কোটি টাকা দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ই-অরেঞ্জ নামের অনলাইন প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে মোটরসাইকেল, স্মার্টফোন সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করত।