গরুকে জাতীয় পশুের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, থাকুক মৌলিক অধিকারও : এলাহাবাদ হাইকোর্ট

ভারতের জাতীয় পশুর স্বীকৃতি দেওয়া উচিত গরুকে। সেইসঙ্গে গো-রক্ষা হিন্দুদের মৌলিক অধিকার হওয়া উচিত। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। 

বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভারতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল গরু। সেইমতো কেন্দ্রীয় সরকারের আইন তৈরি করা উচিত। বিচারপতি শেখর যাদবের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছে, ‘বেদ এবং মহাভারতের মতো প্রাচীন লেখায় গরুকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে হিসেবে ধরা হয়েছে। যা ভারতের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে এবং যে কারণে ভারত পরিচিত।’ বিচারপতি যাদবের মতে, গরুকে মৌলিক অধিকার প্রদানের জন্য সংসদে বিল পেশ করা উচিত। যাঁরা গরুর ক্ষতি করছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কঠোর আইন প্রণয়নেরও সওয়াল করেছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ১২ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি যাদব বলেছেন, ‘আমরা জানি যে যখন কোনও দেশের সংস্কৃতি এবং বিশ্বাস আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তখন সেই দেশ দুর্বল হয়ে পড়ে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

যে মামলায় এমন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি যাদব, তাতে মূল অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। যে ব্যক্তি গো-হত্যা বিরোধী আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। হাইকোর্ট জানিয়েছে, জাভেদ (৫৯) নামে ওই ব্যক্তি গরু চুরি করেছেন, খুন করেছেন, মুণ্ডচ্ছেদ করেছেন এবং গো-মাংস রেখেছেন। বিচারপতি যাদবের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছে, ‘এটাই আবেদনকারীর প্রথম অপরাধ নয়। আগেও তিনি গো-হত্যা করেছেন। যা সমাজের সম্প্রীতি নষ্ট করছে।’ সঙ্গে হাইকোর্ট জানায়, অভিযুক্তকে যদি জামিনে মুক্ত করা হয়, তাহলে আবারও একই অপরাধ করবেন।

হাইকোর্ট অবশ্য জানিয়েছে, শুধু হিন্দুরাই যে গরুর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন, তা নয়। মুসলিম শাসকরাও নিজেদের আমলে গরুকে ভারতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, বাবর, হুমায়ুন এবং আকবর ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় গো-হত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন। মাইসোরের শাসক হায়দার আলি গো-হত্যাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.