কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মাকে। সোমবার রাতেই জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিসিসিআই সভাপতির মা নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। হাসপাতালের ৩৩১ নম্বর রুমে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন মহারাজের মা নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়। শ্বাসের সমস্যা থাকায় মিনিটে ১-২ লিটার অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের। যদিও এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতালে মাকে ভর্তি করার পর দীর্ঘক্ষণ ছিলেন মহারাজও। তাঁরও কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। জানা গিয়েছে সৌরভের রিপোর্ট নেগেটিভ।
বেশ কয়েকমাস ধরে ক্রমাগত শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা ভোগাচ্ছে গাঙ্গুলী পরিবারকে। মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও বছরের শুরুর দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অ্যাঞ্জিওগ্রাম হয় তাঁর। পরে অ্যাঞ্জিওগ্রাম হয় সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়েরও। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যে সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেই সময় তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বুকে ব্যথা অনুভব করায় সৌরভের পরামর্শেই হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে যান তিনি। সৌরভের পর তাঁর দাদার অসুস্থতার খবরে ফের চিন্তায় পড়েছিল ক্রিকেট মহল। সেই সময় অ্যাঞ্জিওগ্রামে ধমনীতে ব্লকেজ ধরা পড়ে স্নেহাশিসের। বুকে ব্যথা অনুভব করায় সেদিকে বসানো হয় স্টেন্ট। এ বার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হল। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ডায়াবিটিস সহ একাধিক কো-মর্বিডিটি রয়েছে নিরুপা গঙ্গোপাধ্যায়ের। গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অস্বস্তি বোধ করার পর শ্বাসকষ্ট হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মায়ের চিকিৎসা শুরু করেছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল। সূত্রের খবর, কিছুটা অক্সিজেনও দিতে হয়েছে তাঁকে। তবে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতীশীল।
নিরুপা গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য হাসপাতালে চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁদের তত্ত্বাবধানে সৌরভের মায়ের চিকিৎসা চলছে। সেই মেডিক্যাল টিমে রয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌপ্তিক পাণ্ডা, সপ্তর্ষি বসু,পালমোনোলজিস্ট অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মন্ডল। গতরাত থেকেই সৌরভের মায়ের একাধিক পরীক্ষা হয়েছে। আপাতত তিনি স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। সৌরভ গতরাতে মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন এ দিন সকাল পর্যন্ত।সম্পর্কিত খবর