ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে রাজ্যে তৈরি হয়েছিল স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম বা সিট। পরে আদালতের নির্দেশই সেই তদন্তভার নেয় সিবিআই। তবে সিটের ভূমিকা নিয়ে বিরোধীদলের নেতৃত্বও প্রশ্ন তুলেছিলেন। এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিট কোথায় সেই অভিযোগ তুলেছিলেন মামলাকারীদের একাংশও। এনিয়ে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। এবার সেই বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, ‘সিট যে কাজ করছে না, সেটা আমরা জানি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’ এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্যের কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। মামলাকারীদের আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নতুন মামলার আর্জিও জানিয়েছেন। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
মামলাকারীরা জানিয়েছেন, আদালত নির্দেশ দিয়েছিল অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের ঘটনার তদন্ত করবে সিট। কিন্তু সিটের তরফে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। সেকারনে কার নজরদারিতে তদন্ত হবে সেটিও চূড়ান্ত হয়নি। এদিকে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে মামলাকারীদের দাবি সিট যাতে দ্রুত তদন্ত শুরু করে সেব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ চান তাঁরা।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের ব্যাপারে সক্রিয় হয় সিবিআই। বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও তদন্তে নেমেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাংলাকে একেবারে চারটি জোনে ভাগ করে শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযোগকারীদের বাড়িতে গিয়ে নানা তথ্যসূত্র যাচাই করছেন তাঁরা। কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কতজনকে করা যায়নি তারও হিসাব নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। তবে কিছু জায়গায় বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের। এসবের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে সিট কোথায় গেল? তবে এরপর সিট সম্পর্কে হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয় সেদিকেই নজর রয়েছে বিভিন্ন মহলের।