রাশিয়ার (Russia) মুসলিম জনসংখ্যা সেই দেশের জনসংখ্যার( ১৪৬ মিলিয়ন ) প্রায় ১১% (১৫ মিলিয়ন), আর এতেই খুব স্বাভাবিক ভাবেই নাভিশ্বাস রুশ সরকারের।
রুশ সেনাবাহিনীতে(Russian Army) ৩% মুসলিম। তারা হয়তো উঁচু পদে নেই কিন্তু তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেনাবাহিনীতে । এমনিতেই চেচেন জঙ্গিদের নিয়ে একসময় ভুগেছিলো রাশিয়া। চেচেন জঙ্গিদের ধর্মান্ধতার ছায়া ও দেখতে পারছেন সেনাবাহিনীর একাংশের মধ্যে। অনেকে আবার সন্দেহ করছেন কিছু চেচেন জঙ্গি সৈন্যের ছদ্মবেশে লুকিয়ে আছে সেনাবাহিনীতে।
কিন্তু এখন প্রায় অলিখিত বিদ্রোহ ঘোষণা হয়েছে রুশ সেনাতে।
সিনিয়র অফিসারদের অভিযোগ , ইসলামে নেই , বা ইসলাম বিরুদ্ধ , এই যুক্তি দেখিয়ে বহু মুসলিম সেনা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নিয়ম কানুন ও আইন মানছেন না। সেনা প্যারেড চলাকালীন দুম করে সবার সামনে নামাজ পড়া শুরু করে দিচ্ছে, দাড়ি কাটতে অস্বীকার করছে ইত্যাদি এবং এর ফলে গোটা রাশিয়া তথা রুশ সেনার মৌলিক সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ রুশ অফিসারদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে , মুসলিম জনসংখ্যা রোধে রুশ সরকার যদি এখনই কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে বর্তমানে এগারো শতাংশ(11%) মুসলিম জনসংখ্যা আর ৩০ বছরের মধ্যে ৩০% গিয়ে পৌঁছবে এবং তখন এই মুসলিমরাই রাশিয়ার অভন্তরীন নীতি থেকে বিদেশ নীতি , পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করবে।
রুশ সেনা পরিণত হবে আরেকটি তালিবান সেনাতে এবং গোটা রাশিয়ার যে ক্যাথলিক খ্রীষ্টানদের অনুকূল পরিবেশ আছে তা অচিরেই প্রতিকূল হতে হতে হয়ে উঠবে প্রায় স্বৈরাচারী ইসলামিক শাসনব্যবস্থার।
বিশেষজ্ঞদের মতে রাশিয়াতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও রুশ সেনাতে ক্রমবর্ধমান মুসলিম সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য দায়ী কমিউনিস্টদের(communist) হাতে তৈরী সোভিয়েত ইউনিয়ন(Soviet Union) যেইখানে মুসলিমদের ক্ষমতায়ন করা হয়েছিল সমাজতন্ত্রের তত্ত্ব মেনে ۔ কিন্তু দুঃখের বিষয় , সমাজতন্ত্রের পাঠে কোনো কাজই হয়নি বরং রাশিয়ার মুসলিমরা কমিউনিস্ট জমানার সব সুযোগ সুবিধে নিয়ে ক্রমশ কট্টর ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এবং এর ফলই ভোগ করছে বর্তমান রাশিয়ান ফেডারেশন(Russian Federation)।
সূত্রের খবর , এই মর্মে রুশ সেনার প্রধান ও রুশ গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি ব্যুরোর(Federal Security Bureau or FSB) প্রতিনিধিরা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কথা বলেছেন।