শুধুমাত্র জেহাদের আঁতুরঘরই নয়; নাবালক ও নাবালিকাদের ও যৌন নির্যাতনের আখড়ায় ও পরিণত হয়েছে কেরালার মাদ্রাসাগুলো

নিজের দুই মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে কেরালার মালাপ্পুরাম জেলার ৫৫ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো।

খবরে প্রকাশ ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি প্রকাশন পি টি ওই মুসলিম ব্যক্তিকে তার দুই মেয়েকে ধর্ষণ করার অপরাধে আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।
মেয়েদের ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয় নি সে, তার স্ত্রীর কাছে নালিশ করার কথা বলে মেয়ে দুটোকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।

আট সন্তানের পিতা ওই ধর্ষক তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার অজুহাতে মেয়েদের সাথে ঘুমোতো ও কুকীর্তিতে লিপ্ত হতো। ওই ব্যক্তির বড়ো মেয়ে ও স্ত্রী দুজনেই গর্ভবতী ছিল যখন এই ঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালের মার্চে তার স্ত্রী পুলিশের কাছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ১৫ এবং ১৭ বছর বয়সী মেয়েদের ধর্ষণের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন।

বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, “এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত বিরল যৌন অপরাধের তালিকাভুক্ত বলে মনে করা যেতে পারে।
পরিসংখ্যান বলে মালাপ্পুরাম জেলা কেরালার মধ্যে শিশুদের, নাবালক ও নাবালিকাদের উপর যৌন অপরাধের তালিকায় শীর্ষস্থানে আছে।
ওই জেলায় বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে মা বাবাদেরকেও দেখা গেছে তাদের সন্তানদের যৌন অপরাধীদের কাছে বিক্রি করে দিতে।

কেরালার মাদ্রাসাগুলোতে শিশু, নাবালক ও নাবালিকাদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.