জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হল ২টি মাথা ৪টি হাত পা নিয়ে জন্মানো সদ্যোজাতের। এই বিরল শিশুর জন্ম হয়েছিল জলপাইগুড়িতে। অবশ্যই জন্মের পরই মৃত্যু হয়েছে তার। শুক্রবার এই অদ্ভুত দর্শন শিশুটি জন্ম নেয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কয়েক ঘন্টার মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।
কেন এই শিশুটিকে বাঁচানোর গেল না ? এই প্রশ্নের উত্তরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘সময়ের অনেক আগেই জন্ম হয়েছিল শিশুটির। সেকারণে তার বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। তবে তার মাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিশুটির মা।’
মৃত সদ্যজাতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই জলপাইগুড়ির মৌলানি ব্লকের আদাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা সাবিনা ইয়াসমিনের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর পরিবারের লোকেরা সাবিনাকে মালবাজারের এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে ওই বধুর স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, গর্ভের মধ্যে দু’টি শিশু জুড়ে গিয়েছে। ঘটনার পরই ওই মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরাও ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করার ঝুঁকি নেননি। তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু যতক্ষণে তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়, ততক্ষণে ওই বধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ওই হাসপাতালের পৌঁছলে, অন্তঃসত্ত্বার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে দ্রুত অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের পর দুই মাথা চার হাত পা নিয়ে জন্ম নেয় বিরল শিশুটি। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই সদ্যোজাতের।