পুলবামা হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল এবং এখনো জারি রয়েছে। পুলবামা হামলার পর ভারত পাকিস্থানের আতঙ্কবাদী ক্যাম্পের উপর এয়ার স্ট্রাইক করেছিল। কিন্তু উল্টে পাকিস্থান ভারতের সেনার উপর হামলা করার জন্য ফাইটার জেট পাঠিয়ে ছিল।ভারতের এয়ার ফোর্স পাকিস্থানের জেটগুলিকে কাউন্টার করার জন্য উড়ান দেয়। এই অপারেশনে পাকিস্থানের একটা এডভান্সড f-16 কে পুরানো MIG-21 দিয়ে লগ ইন করে উড়িয়ে দেয় উইং কামান্ডোর অভিনন্দ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কামান্ডোর অভিনন্দনের MIG-21 টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য ক্র্যাশ করে এবং উনি পাকিস্থানের প্রান্তে প্যারাসুট নিয়ে নেমে পড়েন। এর পর থেকেই শুরু হয় নতুন মোড়।
জানিয়ে দি, পাকিস্থানের f-16 এর পাইলট সাহাউদ্দিন প্যারাসুট নিয়ে পাকিস্থানের প্রান্তেই পড়ে। কিন্তু পাকিস্থানের জনতা ওই পাইলটকে ভারতীয় ভেবে মেরে আধমরা করে দেয়। অন্যদিকে ভারতীয় অভিনন্দনকেউ মারধর করে পাকিস্থানের জনতা কিন্তু পাকিস্থানের আর্মি এসে অভিনন্দনকে নিয়ে যায়। এরপর পাকিস্থানের মিডিয়া ঘোষণা করে দেয় যে তারা নাকি ভারতের দুটি পাইলট গ্রেপ্তার করেছে। কিছু সময় পরেই পাকিস্থান ঘোষণা করে যে তারা ভারতের দুটো নয়, একটা পাইলটকে গ্রেপ্তার করেছে। ততক্ষনে পাকিস্থানিরা বুঝতে পারে যে সাহাউদ্দিন তাদেরই পাইলট। সাহাউদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই সে মারা যায়।
অন্যদিকে ভারতের পরিস্থিতি চরমে উঠে যায়। দেশের মানুষ দাবি করে যেভাবেই হোক তাড়াতাড়ি অভিনন্দকে ফিরিয়ে আনা হোক। জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্থান ১০ দিনের মধ্যে অভিনন্দকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য ছিল এটা সকলের জানা ছিল তা সত্ত্বেও দেশব্যাপী অভিনন্দনকে ফিরিয়ে আনার জন্য আওয়াজ তৈরি হয়। পাকিস্থান অভিন্দনকে গ্রেপ্তার করতে পেরে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। পাকিস্থান জানায় যে, যদি ভারত আলোচনায় বসে তাহলে তারা অভিনন্দনকে ছেড়ে দেবে।
ভারত এই দাবি খারিজ করে এবং পরদিন সকালে হটাৎ করেই পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাক পার্লামেন্টে ঘোষণা করে যে আমরা ১ তারিখ অভিনন্দনকে ছেড়ে দেব। পাকিস্থান ৫৬ ঘন্টার মধ্যে অভিনন্দনকে মুক্তি করে দেয় এবং ভারতের হাতে তুলে দেয়। এরপর থেকেই একটা প্রশ্ন আসে যে জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী হাতে সময় থাকলেও পাকিস্থান কেন এত তাড়াতাড়ি অভিনন্দনকে ছেড়ে দিয়েছিল। আসলে এর উত্তরে একটা চমকে দেওয়ার মতো রিপোর্ট সামনে এসেছে। আর এই রিপোর্টকে পাকিস্থানের বেশকিছু সাংবাদিকও স্বীকার করেছে।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে অভিনন্দকে আনার জন্য মোদী পাকিস্থানের উপর ব্রহ্মস মিসাইল আক্রমন করার সিধান্ত নিয়েছিল। প্ল্যান ছিল রাতারাতি পাকিস্থানের এয়ার ফোর্সকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু খবর CIA এর মাধ্যমে আমেরিকার কান অবধি পৌঁছে যায়। আমেরিকা সাথে সাথে পাকিস্থানকে নির্দেশ দেয় যে তারা যেন কাল সকালের মধ্যে ভারতীয় পাইলটের মুক্তির ঘোষণা করে নাহলে ভারতকে আটকানো অসম্ভব। অন্যদিকে আমেরিকা ও আরব ভারতকে কিছু ঘণ্টার জন্য থেমে যাওয়ার অনুরোধ করে।
আমেরিকা পাকিস্থানেকে জানায় যে তারা ভারতকে যেভাবে হোক কয়েক ঘন্টা আকানোর চেষ্টা করছে, তাই কাল সকালের মধ্যে কোনো শর্ত ছাড়াই যেন পাকিস্থান অভিনন্দনের মুক্তির ঘোষণা করে। ভারত পাকিস্থানের উপর মিশাইল এট্যাক করার পজিশন নিয়েছে এই খবর বাকি দেশের কানে পৌঁছানো মাত্র তারা ভারতের উপর উপগ্রহ নজরদারি শুরু করে দিয়েছিল বলেও দাবি করা হচ্ছে। ভারতের উপর নজরদারি করার জন্য পাকিস্থান তুর্কি ও চীনের থেকে স্যাটেলাইট সাহায্য চেয়েছিল, যদিও তারা সেটা দিতে অস্বীকার করে। মোদী ব্রহ্মস মিসাইল ছেড়ে নির্ণায়ক যুদ্ধ করতে পারে এটার ভয়েই পাকিস্থান ৫৬ ঘন্টার মধ্যে অভিনন্দনকে মুক্ত করে। একটু স্মরণ করলে দেখা যাবে যে ভারত সরকার ২৮ তারিখ তিন সেনার সাথে বৈঠকের সিধান্ত নিয়েছিল কিন্তু পাকিস্থানের ঘোষনার পর সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর মূল কারন পাকিস্থানের ঘোষণার পর মোদী তার সিধান্ত পরিবর্তন করেন।
পাকিস্থান এখন দাবি করছে যে তারা শান্তি বজায় রাখতে অভিনন্দনকে ছেড়ে দিয়েছে। যদিও সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে চাপে পড়ে পাকিস্থান উইং কামান্ডোর অভিন্দনকে ছেড়েছে। পাকিস্থানের সাংবাদিক ময়ীদ পীরজাদা বলেছে- মোদী একটা পাগল ব্যাক্তি, মোদী পাকিস্থানের উপর মিসাইল ছাড়ার প্ল্যান করেছিল যার জন্য বাধ্য হয়ে পাকিস্থান অভিনন্দনকে ছেড়ে দিয়েছে। ময়ীদ পীরজাদার আরো বলেছে, অভিনন্দকে ছেড়ে দেওয়াটা আমাদের জন্য ভালো বিষয় নয়, কিন্তু আমরা বাধ্য হয়েছি ছাড়তে।