করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফলে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। তবে বেশ কিছু স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেন চলছে পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের বিভিন্ন শাখায়। তাতে সবচেয়ে বেশি সমস্য়ায় পড়ছে সবজি ব্যবসায়ীরা। কারণ, যে কয়েকটি ট্রেন চলছে, তাতে নিত্যযাত্রীদের ভিড় থাকায় বড় বড় সবজির ঝুড়ি নিয়ে উঠতে সমস্যা হচ্ছে ব্য়বসায়ীদের। ফলে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে চাষিদের।এদিকে বাজারেও দাম বাড়ছিল শাক-সবজির।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় রেলকে অনুরোধ করেছিলেন বাংলার কৃষকদের স্বার্থে বিশেষ ট্রেন চালানোর জন্য। সেই অনুরোধ মেনে এই প্রথমবার বাংলায় দুজোড়া ‘কৃষক স্পেশাল’ লোকাল ট্রেন চালু করেছে পূর্ব রেল। পূর্ব রেলের মূখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য এই ধরণের লোকাল ট্রেন পরিষেবা এই প্রথম চালু হল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, কোনও ট্রেন কাটছাঁট করে নয়, অতিরিক্ত দুটি লোকাল ট্রেন চালাচ্ছে পূর্ব রেল। আপাতত শিয়ালদা মেইন শাখায় দুটি কৃষক স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। প্রথমটি ভোর ৩টে নাগাদ নদিয়ার গেদে স্টেশন থেকে ছেড়ে রানাঘাট হয়ে শিয়ালদা পৌঁছাচ্ছে সকাল ৫টা ৪৬ মিনিটে। তাতে মূলত শাকসবজি কলকাতার বাজারে পাঠাতে পারছেন কৃষকরা। পরবর্তী ট্রেনটি সকাল ১০টা নাগাদ শিয়ালদা থেকে ছেড়ে সোজা শান্তিপুর পৌঁছে যাচ্ছে। এরপর সেটিই দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শান্তিপুর থেকে ছানা নিয়ে রানাঘাট হয়ে শিয়ালদা আসছে দুপুর ৩টে ৫০ মিনিটে।
এই ট্রেনটি চালু হওয়ায় কলকাতা ও শহরতলিতে দ্রুত ছানা পৌঁছে দিতে পারছেন ব্য়বসায়ীরা। এতে উপকৃত হচ্ছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। ৯ কামরার এই কৃষক স্পেশাল ট্রেনে থাকছে মোট চারটি ভেন্ডর কামরা। এই ট্রেনে সাধারণ টিকিটের পাশাপাশি মাসিক ভেন্ডর টিকিট কেটে উঠতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। কৃষক স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ায় বাজারে শাকসবজির দাম কমতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ট্রেন চালু হতে কিছুটা স্বস্তি মিলবে ব্যবসায়ীদের।